অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে রেকর্ড ২৬২ রানের ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২ উইকেটে হারিয়েছিল নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। টানা দ্বিতীয় এবং এই বড় জয়ে সেমিফাইনালে খেলার পর একরকম নিশ্চিত বাংলাদেশের।
কুয়ালালামপুরের টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ৩৬ রানের মধ্যেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধে দলকে রানের পাহাড়ে বসিয়ে দেন অধিনায়ক সাইফ হাসান ও তৌহিদ হৃদয়।
মালয়েশিয়ার বোলারদের বিপক্ষে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন তারা। তৃতীয় উইকেটে ১৯২ রানের জুটি গড়েন সাইফ-হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটি নতুন রেকর্ড। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিনাক ঘোষ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭৯ রান করেছিলেন।
সাইফ-হৃদয়ের বড় জুটির কল্যাণে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৫ রানে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যা টাইগারদের দলীয় রেকর্ড। ২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপে নেপিয়ারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩০৭ রান করেছিলেন মোমিনুল হক ও সাব্বির রহমানদের নিয়ে গড়া দলটি। প্রায় সাত বছর পর মোমিনুল-সাব্বিরদের রেকর্ড ভেঙে দলীয় সংগ্রহের নতুন কীর্তি গড়লো সাইফ হাসানের দল।
যুব ওয়ানডেতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের রান ৩শ’ অতিক্রম করলো। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে মেহেদি হাসান মিরাজের দল ৭ উইকেটে ৩০৪ রান করেছিল।
বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চড়াতে গিয়ে হৃদয় সেঞ্চুরি পেলেও, তিন অংকে পা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাইফ। ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১২০ বলে ১২০ রান করেন হৃদয়। আর ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৩ বলে ৯০ রান করে আইট হন সাইফ। এ ছাড়া শেষদিকে আমিনুল ইসলাম ১৭ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেন। মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ হাফিজ ৭৮ রানে ৪ উইকেট নেন।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩৩৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ৭৩ রান করে মালয়েশিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন অধিনায়ক বিরানদ্বীপ সিং। ৫টি চারে ১৩০ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। বল হাতে বাংলাদেশের সাখাওয়াত হোসেন ৩টি ও আফিফ হোসেন ২টি উইকেট নেন।
গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে নেপালের কাছে ১৯ রানে পরাজিত হয়েছে ভারত।
বর্তমানে ২ খেলায় ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’-গ্রুপে সবার উপরে বাংলাদেশ। ২ খেলায় ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ভারত। একই অবস্থা নেপালেরও। ২ খেলায় জয়হীন থাকা মালয়েশিয়া রয়েছে গ্রুপের তলানিতে। পয়েন্টের পাশাপাশি রান রেটেও সবার থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ।