কোনও বিশেষণই বোধহয় তাঁর পরিচয় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বিশ্বের বিভিন্ন মাঠে ছড়িয়ে রয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের একাধিক নজির। কিন্তু, এমনও কিছু বিখ্যাত মাঠ রয়েছে, যেখান থেকে কার্যত হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে ১০০টি সেঞ্চুরির মালিককে। এক ঝলকে দেখা নেওয়া যাক এমনই পাঁচটি মাঠ-কাহিনি।
লর্ডস, লন্ডন
এক ঝলকে বিশ্বের যে গুটি কয়েক বিখ্যাত ক্রিকেট মাঠের নাম মনে পড়ে সেই তালিকায় অন্যতম অবশ্যই লর্ডস। কিন্তু, এই লর্ডসেই তেমন কোনও নজির নেই লিটল মাস্টারের। এই মাঠে টেস্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৪ এবং একদিনের ম্যাচে ৩০ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে।
দ্য গাব্বা, ব্রিসবেন
যে সব দেশের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটে বরাবরই ‘আগুন’ জ্বলেছে, সেই তালিকায় অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মাঠগুলির তালিকায় গাব্বার নাম অবশ্যই থাকবে। কিন্তু, আশ্চর্য এই গাব্বাই হতাশ করেছে টেন্ডুলকারকে। এই মাঠে মাত্র দু’টি টেস্টে নামতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সর্বোচ্চ রান মাত্র ১৬। তবে, কিছুটা হলেও একদিনের ম্যাচে তিনি সফল হয়েছেন এখানে। ওডিআইতে এই মাঠে তাঁর সেরা স্কোর ৯১।
দ্য কেনিংটন ওভাল, লন্ডন
লর্ডসের মতো লন্ডনের কেনিংটন ওভালেও শতরান করার নজির নেই লিটল মাস্টারের। ১৯৯০-এ প্রথম বার ইংল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে একাধিক বার এই মাঠে ব্যাট করেছেন তিনি। কিন্তু, টেস্টে সর্বোচ্চ ৯১ এবং একদিনের ম্যাচে ৯৪ রান করেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে তাঁকে।
সাবাইনা পার্ক, জামাইকা
সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনই একটা দেশ, যেখানে ব্যাট করতে কোনওদিনই তেমন স্বচ্ছন্দ ছিলেন না সচিন। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের রেকর্ড অন্তত তেমনই কথা বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ক্রিকেট মাঠগুলির মধ্যে সাবাইনা পার্ক অন্যতম। এই মাঠে দেশের হয়ে চারটি টেস্ট ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। সর্বোচ্চ রান ৮৬। তবে এই মাঠে একটিও একদিনের ম্যাচ খেলেননি শচীন।
কিংসমিড, ডারবান
দক্ষিণ আফ্রিকার ডাববান। সবুজ পিচ হিসেবে বরাবারই সুনাম রয়েছে ডারবানের। এই সবুজ পিচেও শতরানের মুখ দেখতে পারেননি শচীন। টেস্টে ৬৩ এবং একদিনের ম্যাচে এই মাঠে তাঁর সর্বোচ্চ ৪৫ রান।