১৯ বছর বয়সী তরুণ ডান-হাতি পেসার ইয়াসিন আরাফাতের বিধ্বংসী বোলিংয়ের অসহায় আত্মসমর্পণ করে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তৃতীয় হারের স্বাদ পেল আবাহনী লিমিটেড।
দশম রাউন্ডের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে আবাহনী। ৮ দশমিক ১ ওভার বোলিং করে ৪০ রানে ৮ উইকেট নেন আরাফাত। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৮ উইকেট নিলেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের এটি তৃতীয় ম্যাচ ছিল আরাফাতের। তবে এবারের লিগে দ্বিতীয়। এই ৮ উইকেট শিকারে নিজের উইকেট সংখ্যা ৯-এ নিয়ে গেছেন এ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া আরাফাত।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আবাহনীকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় গাজী গ্রুপ। প্রথম বোলার হিসেবে বল হাতে নিয়ে আবাহনী ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজের কারিশমা দেখান আরাফাত। তার ভেল্কিতে উইকেটে গিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা।
১২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ওই স্কোরেই পঞ্চম ব্যাটসম্যানকে হারায় আবাহনী। এরমধ্যে চারটি উইকেটই ছিল আরাফাতের। অন্যটি নেন বাঁ-হাতি স্পিনার টিপু সুলতান। ওপেনার এনামুল হককে ১০ রানে থামান তিনি। আরাফাতের শিকার ছিলেন- সাইফ হাসান ১, নাজমুল হোসেন শান্ত ০, অধিনায়ক নাসির হোসেন ০ ও মোসাদ্দেক হোসেন ০।
ষষ্ঠ উইকেটে আবাহনীকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন মোহাম্মদ মিথুন ও ভারতের মনন শর্মা। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান সুলতান। ৪২ বলে ৪১ রান করা মিথুনকে থামিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় উইকেট নেন তিনি।
এরপর আবারও আবাহনী শিবিরে ঝড় তুলেন আরাফাত। আবাহনী শেষ চার উইকেটও তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ দশমিক ১ ওভারে ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। ৭টি চারে ৫৮ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন শর্মা।
জবাবে ১১৪ রানের টার্গেটে শুরুতে বিপদে পড়েছিল গাজী গ্রুপও। ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম ও পাকিস্তানের ফওয়াদ আলম। তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন জহিরুল ও ফওয়াদ। এতেই ১২১ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গাজী গ্রুপ।
এ জয়ে ১০ খেলায় ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেট বিবেচনায় টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো গাজী। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সবার উপরে আবাহনী।