তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্রাইস্টচার্চের শ্যাডো বাই পার্ক হোটেলে টাইগার ক্রিকেটারদের পালন করতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন। হোটেলে আলাদা আলাদা রুমে থাকা টাইগার ক্রিকেটাররা ‘স্বাদ পাচ্ছেন’ ঠিক যেন জেলখানার বন্দিদের মতো! যদিও তৃতীয় দিন থেকে কিছু সময়ের জন্য বাইরে বের হতে পারায় মুক্ত আকাশের নীচে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোরে নিউজিল্যান্ড পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে পৌঁছেই হোটেল বন্দি হন তামিম-মুশফিক-মিরাজরা। দিতে হয়েছে করোনা পরীক্ষাও। কোয়ারেন্টাইনে প্রথম দুইদিন পুরোপুরি ঘরবন্দি ছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
প্রথম কোভিড-১৯ পরীক্ষায় সকলের নেগেটিভ রেজাল্ট আসার পর শুক্রবার থেকে ৩০ মিনিট করে রুমের বাইরে বের হতে পারছেন তারা। এ সময় হোটেল এরিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা হাঁটাচলারও সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রতিদিনের ন্যায় রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আধাঘণ্টার জন্য হোটেল রুমের বাইরে বের হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি জানান, হোটেল বন্দি যেন তার কাছে জেলখানার মতো লাগছে। শুধু তাই নয়, রুমবন্দি থেকে বাইরে হলে তার মাথাও ঘুরছে।
মিরাজ বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন কী রকম কাটছে, প্রথম এ রকম (রুমবন্দি) পাঁচটা দিন হোটেলের মধ্যে কাটিয়েছি। অবশ্য প্রথম দিকে সময় কাটতেছিল না। কারো সাথে দেখাও হয়নি, প্রথম তিন। ফোনে ফোনে কথা হয়েছে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি..)।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্য প্রথম দিকে একটি বোরিং লাগতেছিল, সময় কাটতেছিল না।তবে এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে। আশা করি, সামনের বাকি তিনদিন কেটে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দেশের বাইরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম। মিরাজ বলেন, ‘প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম, তারপর আধা ঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সবাই।’
টানা তিনদিন রুমের মধ্যে বন্দি থাকার পর বাইরে বের হয়ে ভালো লাগার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ার সাথে মানিতে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে মিরাজের। বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আমার মাথা একটু ঘুরতেছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনদিন যে ঘরের মধ্যে বন্দি ছিলাম; আমার কাছে মনে হয়েছে যে, জেলখানায় আছি বা হতাশায় আছি -এ রকম একটু ফিল ছিল। কিন্তু যখন বাইরে বের হয়ে আসলাম, বাইরের আবহাওয়া সাথে যখন মানিয়ে নিলাম তখন ভালো লাগছে। এরপর যখন রুমে গেছি তখন ফ্রেশ মনে হয়েছে।’
দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার সময় বাংলাদেশেও বায়ো-সুরক্ষা পরিবেশে থেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে কোয়ারেন্টাইন ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। মিরাজ বলেন, ‘সারাদিন তো আর রুমে বসে থাকা যায় না, এটা আমাদের জন্য আনকম্ফোর্টেবল। তবে ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে পেরে খুব ভালো লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৬-৭ দিন পরে যখন আমরা মাঠে যেতে পারবো তখন আমাদের ভালো লাগবে। কারণ, এখন সময় হয়তো কাটছে না। তবে এখানে যদি জিমের বা ওয়ার্কের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত এবং ফিটনেসও ভালো হতো। কিন্তু যেহেতু অপরচুনিটি নেই, দুই-তিন পর শুরু হলে (মাঠের অনুশীলন) আশা করি তখন আমাদের ভালো হবে, ইনশা আল্লাহ।’
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]