ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে দুই বছর নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা বাঁহাতি পেসার কাজী অনিক। নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন। এখন তাকিয়ে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দিকে। সুযোগ পেলে নিজের ক্যারিয়ার নতুনভাবে সাজাতে চান তুরুণ এ ক্রিকেটার।
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি খুশি, অবশেষে আমি মুক্ত। নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। গত দুই বছরে আমি বিসিবি আয়োজিত কোন ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে থাকতে পারিনি। তবে এখন থেকে সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রাজশাহীতে একটি টুর্নামেন্ট খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তবে সেখানে যাইনি। কারণ, টুর্নামেন্টটি সরাসরি বিসিবি আয়োজিত না হলেও বিসিবির অনুমতি ছিল। আমি কোন বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। শুনেছি শিগগিরই এনসিএলের দল নির্বাচন হবে। এখন সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার কাজী অনিক। তখন থেবেক তাকে ভবিষ্যৎ তারকাও ভাবা শুরু হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এইচপি ইউনিটেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৮ সালের নভেম্বরে কক্সবাজারে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) একটি ম্যাচে তার শরীরে মেথাফেটামিন জাতীয় ড্রাগ ধরা পড়ে।
নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিলেও দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন কাজী অনিক। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি)। ফলে এখন থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে অনিকের আর বাঁধা নেই।
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]