ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করার শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে নতুন দু’জনের অভিষেক হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও তা হয়নি। বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হলেও পেসার শরিফুল ইসলাম ও অফ-স্পিনার মেহেদী হাসানের অভিষেক হয়নি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন নতুন মুখকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের মাঝে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও পেসার হাসান মাহমুদকে খেলানো হয়।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া বাকি দুইজন হলেন- পেসার শরিফুল ইসলাম ও অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে পূর্বের একাদশ থেকে দুটি পবির্তন আনা হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ খেলা পেসার রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।
টাইগার পেসার রুবেল প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে ৩৪ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ ওভার বল করে ২৩ রান দিলেও ছিলেন উইকেট শূন্য। এছাড়া অভিষেক ম্যাচে ৬ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৫৪ রান দিয়ে একটি উইকেট শিকার করেছিলেন হাসান মাহমুদ।
ইতিমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করলেও হারের স্বাদ নিতে রাজি নন তামিম ইকবাল। মূলত সে কারণেই দলে কোন পরীক্ষা চালাতে রাজি হননি।
এদিকে এ ম্যাচে জয় পেলে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও তিনবার সিরিজ জিতলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ইতোমধ্যে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে ৬ ও ৭ উইকেটে জিতে টাইগাররা। ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে লিড নেয় বাংলাদেশ। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি নিষেধাজ্ঞা শেষ করে মাঠে ফিরে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৮ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।