কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন ১৩ ডিসেম্বর (রোববার) রাতে বাবা হারিয়েছেন জেমকন খুলনার পেসার শহিদুল ইসলাম। মাত্র পাঁচদিন আগে বাবা হারানোর শোক মনের গহীনে চেপে ফিরেছিলেন দলে। শুধু দলে ফিরেছেন তা নয়, ফাইনালে দলের অঘোষিত নায়কে পরিণত হয়েছেন শহিদুল।
বাবা হারানোর সংবাদ পেয়েই ওই রাতেই হোটেল ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিজের বাড়ি চলে যান শহিদুল। বাবার দাফন শেষে আবারও ফিরেছেন ঢাকায়। তবে দলে ফেরার পথটা সহজ ছিল না শহিদুলের। করোনার কারণে তাকে তিনদিন থাকতে হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এরপর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে যুক্ত হয়েছের দলে।
ফাইনালে শিরোপা জয়ে শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। খুলনার শহীদুলের করা সেই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি চট্টগ্রাম, উল্টো হারিয়েঠে দুই সেট ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক সৈকত ও সৈকত আলির উইকেট। তবে শেষ বলে ছক্কা হাঁকান নাহিদুল। যা শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোন কাজেই আসেনি।
বাবা হারানোর মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ফেরা ২৫ বছর বয়সী পেসার শহিদুলের দুর্দান্ত খেলায় বাহবাও দিয়েছেন তার সতীর্থরা। ফাইনালে জয়ের পর মাশরাফি বিন মর্তুজা তো বলেই দিয়েছেন, তারা ম্যাচটি খেলেছেন মূলত শহীদুলের বাবার জন্য। ফাইনালের জয়টিও শহীদুলকে তিনি উৎসর্গ করেছেন।
মাশরাফি বলেন, ‘আমরা সবাই শহিদুলের বাবার জন্য খেলেছি। পাঁচদিন আগে মারা গেছেন তিনি। আমাদের অধিনায়ক (মাহমুদউল্লাহ) বলেছে যে, আমরা শহিদুলের জন্য খেলব। বাবা মারা যাওয়ার কারণে সে বাড়িতে গিয়েছিল এবং হোটেলে গত তিনদিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। সে পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে ম্যাচ খেলেছে। আমরা শুধু তার জন্য খেলেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে, আমরা তার জন্য জয় এনে দিতে পেরেছি।’
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মাশরাফিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ আমার দলকে। বিশেষ করে ম্যাশকে (মাশরাফি)। সে অনেক সাহায্য করেছে। তার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। খুবই খুশি তাকে পেয়ে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]