ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফে বরিশাল

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফে বরিশাল

বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফের টিকিট পায় বরিশাল।

এ জয়ে ৮ খেলায় ৩ জয় ও ৫ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো বরিশাল। আর ৮ খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে লিগ পর্ব থেকেই আসর শেষ করতে হলো মিনিস্টার রাজশাহীকে।

প্রথমে ব্যাট করে সাইফ হাসান-আফিফ হোসেন-তৌহিদ হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান করে বরিশাল। জবাবে ওপেনার নাইম শেখের ১০৫ রানের পরও টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি ঢাকা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে ঢাকা। দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাইম।

টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে ঢাকা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বরিশালের। ৪৪ বলে ৫৯ রানের সূচনা দলকে উপহার দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২টি চারে ১৭ বলে ১৯ রান করা তামিমকে থামিয়ে বরিশাল শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ঢাকার অফ-স্পিনার আল-আমিন।

তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ১৩ রান করেরন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফের সাথে ২৩ রান যোগ করেন ইমন। তামিম-ইমন বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেও এক প্রান্ত আগলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন সাইফ। ৪১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পরই থামতে হয় তাকে। ঢাকার পেসার রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফ। ৪৩ বলে ৮টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান সাইফ।

১৩ দশমিক ৪ ওভারে দলীয় ১০২ রানে সাইফ বিদায় নেন। এরপর ইনিংসের বাকি ৩৮ বলে ৯১ রান তুলেছেন দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান আফিফ ও হৃদয়। দু’জনই বিধ্বংসী রুপ ধারন করেছিলেন। ১৯ ওভারে দলের স্কোর ১৭৫ রানে নিয়ে যান আফিফ-হৃদয়। তখন আফিফ ২৩ বলে ৪৩ ও হৃদয় ১৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২২ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ঢাকার রুবেল-আল আমিন ও মুক্তার ১টি করে উইকেট নেন।

প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ায় ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না ঢাকার কাছে। তবে শীর্ষ দুইয়ে থাকার লক্ষ্য ছিল ঢাকার। শীর্ষ দুয়ে থাকতে পারলে কোয়ালিফাইয়ারের সুবিধা পাওয়া যেত। বরিশালের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৪ রানের টার্গেট দারুণ সূচনা ছিল ঢাকার। পাওয়ার প্লেতে দলকে ৫২ রান এনে দেন ঢাকার দুই ওপেনার নাইম ও সাব্বির রহমান। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে সাব্বিরকে ১৯ রানে থামিয়ে দেন ঢাকার প্রথম উইকেট তুলে নেন বরিশালের বাঁ-হাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দি শুভ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১ বলে ১৯ রান করেন সাব্বির।

এরপর ৬২ রানেই ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। এ অবস্থায় জুটি গড়েন নাইম ও ইয়াসির আলি। উইকেট ধরে খেলে ১৪তম ওভারে দলের স্কোর শতরানে নিয়ে যান তারা। ততক্ষণে একবার জীবন পেয়ে ৪৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছান নাইম। বরিশালের পেসার তাসকিন আহমেদের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এবারের আসরে তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান হন নাইম।

সেঞ্চুরির পর ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে থামেন নাইম। বরিশালের পেসার সুমন খানের বলে ব্যক্তিগত ১০৫ রানে আউট হন তিনি। ৬৪ বলের নান্দনিক ইনিংসে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিল। নাইম যখন ফিরেন তখন ১০ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার। আর শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রানের। শেষ ওভারটি করার দায়িত্ব পান পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

প্রথম বলেই ব্যক্তিগত ৪১ রানে রান আউট হন ইয়াসির। বাই থেকে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। অবশ্য ওয়াইডের কারনে ১ রানও পায় ঢাকা। ২৮ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ইয়াসির। দ্বিতীয় বলে ১ রান দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা আদায় করেন নেন মুক্তার। চতুর্থ বলে মুক্তারকে থামান রাব্বি। পরের দু’বলে কোন রান দেননি রাব্বি। সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় ঢাকা।

শেষ বলে জিততে ৯ রান দরকার পড়ে ঢাকার। শেষ বলে ছক্কা মেরেও দলের হার এড়াতে পারেননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে ঢাকা। বরিশালের শুভ ৩ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস]



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

টুর্নামেন্ট থেকে রাজশাহীর বিদায়

টুর্নামেন্ট থেকে রাজশাহীর বিদায়

পাল্টে গেল বঙ্গবন্ধু কাপের ম্যাচ শিডিউল

পাল্টে গেল বঙ্গবন্ধু কাপের ম্যাচ শিডিউল

ইনজুরিতে পড়া রাহীর টুর্নামেন্ট শেষ

ইনজুরিতে পড়া রাহীর টুর্নামেন্ট শেষ

শফিউলের পরিবর্তে জেমকন খুলনায় খালেদ

শফিউলের পরিবর্তে জেমকন খুলনায় খালেদ