মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে জেমকন খুলনা। রোববার (৬ ডিসেম্বর) টুর্নামেন্টের ১৪তম এবং দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে জেমকন খুলনা। একই সঙ্গে লটারির মাধ্যমে মাশরাফিকে দলে ভেড়ানোর দিনটি জয় দিয়ে রাঙালো মাহমুদউল্লাহরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে রাজাশাহীকে ব্যাট করার আমন্ত্রন জানায় খুলনা। মোহাম্মদ আশরাফুলকে একাদশের বাইরে রেখে নিজেদের ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ইনজুরি কাটিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো একাদশে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই সাফল্যের দেখা পান স্পিনার শুভাগত হোম। রাজশাহীর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনকে ১ রানের বেশি করতে দেননি শুভাগত। শুরুতে ইমনকে হারালেও পাওয়া-প্লের সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ১৬ বলে ৩১ রানের সুবাদে পাওয়ার-প্লেতে ৪৭ রান পায় রাজশাহী।
সপ্তম ওভারে প্রথম বলে শান্তর সতীর্থ রনি তালুকদারকে বিদায় দেন খুলনার পেসার আল-আমিন হোসেন। ১৭ বলে ১৪ রান করেন রনি। চার নম্বরে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন হার্ড-হিটার মেহেদি হাসান। ১৫ বলে ৯ রান করে পেসার শহিদুল ইসলামের বলে আউট হন মেহেদি।
সতীর্থরা দ্রুত ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। বাউন্ডারি মেরে ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন শান্ত। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর এবারও ৫৫ রানে থামেন রাজশাহীর অধিনায়ক। এবারের আসরে শান্তর প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসটিও ছিল ৫৫ রানের। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় আজ ইনিংস সাজান শান্ত। রাজশাহীর অধিনায়ককে থামান খুলনার দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শান্তর পর দলীয় ৯৩ রানে ফজলে মাহমুদ নামের পাশে ৯ রান রেখে বিদায় নিলে জুটি বাঁধেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও জাকের আলি। তখন ইনিংসের ৩৭ বল বাকি ছিল। এরপর বাকি ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটি গড়েন নুরুল ও জাকের। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী। ২১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন সুরুল। ১৯ বলে ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৫ রান করেন জাকের। খুলনার শুভাগত ২৫ রানে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন সাকিব।
জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্যে দলকে শুভ সূচনা এনে দেন খুলনার দুই ওপেনার জহিরুল ইসলাম ও জাকির হাসান। ৫১ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। এর মধ্যে ১৯ রান করেন জাকির। বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েও ৪৩ রানে থামেন জহিরুল। তার ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।
জহিরুলের মতো ভালো শুরু ছিল তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসেরও। তবে ২৭ রানে থেমে যান তিনি। দলীয় ৯৪ রানে ইমরুলের বিদায়ের পর ১০৯ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারায় খুলনা। এর মধ্যে ছিলেন সাকিব ও শামিম হোসেন। সাকিব ৪ ও শামিম ৭ রান করেন। সাকিবকে শিকার করেন টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা সাইফউদ্দিন।
পঞ্চম উইকেট পতনের পর দলকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল হক। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রান যোগ করে ৪ বল বাকি রেখে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন তারা। ১৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩১ রান করে ম্যাচ সেরা হন মাহমুুদউল্লাহ। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল। রাজশাহীর মুকিদুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
এ জয়ে ৬ খেলায় ৪ জয় ও ২ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে জেমকন খুলনা। ৫ খেলায় ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট চট্টগ্রামের। খুলনার সাথে সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মিনিস্টার রাজশাহী : ১৪৫/৫, ২০ ওভার (শান্ত ৫৫, নুুরুল ৩৭*, শুভাগত ২/২৫)
জেমকন খুলনা : ১৪৬/৫, ১৯.২ ওভার (জহিরুল ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ৩১*, শুভাগত ২/২৫)।
ফল : জেমকন খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : মাহমুদইল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]