বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের দুই ম্যাচেই চমক দেখালো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের ঢাকাকে লজ্জা দিয়ে শুভ সূচনা করেছিল মিঠুনের চট্টগ্রাম। এবার তৃতীয় দিন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনাকে লজ্জা দিল তারা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৮৬ রানে আটকে রেখে খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের দল চট্টগ্রাম।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তার প্রমাণ পেয়েছে বেশ ভালোভাবে।
ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে চমক দেখায় খুলনা। ইমরুল কায়েসকে রেখে এনামুল হক বিজয়ের সাথে ওপেনিং করতে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে চট্টগ্রামের মোস্তাফিজের বিধ্বংসী বলে একে একে ভেঙে যায় খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ।
১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় জেমকন খুলনা। বল হাতে ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান দিয়ে মোস্তাফিজ তুলে নেন ৫টি উইকেট। জবাবে ব্যাট হাতে ১৩.৪ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
সাকিব ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করেও রানে ফিরতে পারেননি। ৭ বল খেলে ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন সাকিব। অবশ্য এ ৩ রানেই টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সাকিবের আগে ৬ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
এরপর এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আগের দুই ম্যাচে ওপেন করলেও সাকিবকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যাট হাতে ওয়ানডাউনে নামা ইমরুল ফিরেন ব্যক্তিগত ২১ রানে। ইমরুলের পর জহুরুল ইসলামকেও (১৪) বিদায় করেন তাইজুল।
এরপরই শুরু হয় কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের তাণ্ডব। আরিফুল হক (১৫), শামীম হোসেন (১১), রিশাদ হোসেন (০) এবং আল আমিন হোসেনকে (০) সাজগরে ফিরান তিনি। মোস্তাফিজ-তাইজুলদের বলে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা খুলনা বেশি দূর যেতে পারেনি। নির্ধারিত ওভারের আগেই ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর দল খুলনা।
মোস্তাফিজের চার উইকেট ছাড়াও তাইজুল ও নাহিদুল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
মাত্র ৮৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ওপেনিং জুটিতে তুলে নেন ৭৩ রান। ২৯ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মমিনুল হক। জয়ের জন্য তাকে সাথে নিয়েই বাকি কাজটুকু সারেন লিটন দান। ৪৬ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি। ফলে ৩৮ বল বাকি থাকতেই ৮৭ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁয়ে যায় চট্টগ্রাম। ম্যাচ সেরা হয়েছে মোস্তাফিজ।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]