বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে সকলের নজর কেড়েছে পেসার সুমন খান। টুর্নামেন্টে মোট ৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ফাইনাল ম্যাচে ৩৮ রানে ছিল ৫ উইকেট। ফাইনালে ম্যাচ সেরা পুরস্কার ছাড়াও টুর্নামেন্টের স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া পাঁচজনের মধ্যেও ছিলেন সুমন।
সুমন খানের লক্ষ্য এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দল ও দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নিজেকে তুলে ধরা। তিনি জানান, ‘আসলে, যে দিন থেকে আমি ক্রিকেটের জন্য নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি, সেদিন থেকে আমার সমস্ত মনোযোগ ক্রিকেটের দিকে। আমি ক্রিকেট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব, আশা করি শীর্ষ পর্যায়ে খেলতে পারবো। একদিন আমি খেলবো।’
প্রেসিডেন্ট’স কাপ থেকে নতুন খেলোয়াড় প্রাপ্তির তালিকায় সুমনের নাম উল্লেখ বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে ক্রিকেটার হওয়ার পথে বেশিরভাগ ক্রিকেটার শৈশব থেকে ক্রিকেট শুরু করলেও সেই পথে যাননি সুমন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশোনা করা অবস্থায় ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা-আবেগ থেকেই বিকেএসপিতে পড়াশোনার জন্য চতুর্থ সেমিস্টারের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন সুমন। সুমন খানের লক্ষ্য এখন অনেক বড়।
সুমন খান বলেন, ‘নিজের সেরাটা দিতে পারায় টুর্নামেন্টটি আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। এটি একটি সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্ট, আমি ভালো করার চেষ্টা করেছি, আল্লাহর কৃপায় আমি ভালো করেছি, খুবই ভালো লাগছে।’
সিনিয়র পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সে কারণে প্রত্যাশা বেড়েছে। প্রত্যাশা পূরণে সুমন খান আত্মবিশ্বাস রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বলেন, ‘আসলে আমার কাছে প্রত্যাশা এখন বেশি এবং তাই আমার দায়িত্বও বেড়েছে। আমি আরও ভালো করার এবং প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ নেব। আমি জানি, সবাই এখন নিয়মিতভাবে আমার পারফরমেন্স দেখতে চাইবে। আমি আত্মবিশ্বাসী আমি পারবো।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবালের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সমর্থন ও প্রশংসা পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সুমনের। বলেন, ‘রিয়াদ ভাই সবসময় আমার পারফরমেন্সের প্রশংসা করেন। ফাইনাল ম্যাচে ভালো করার পরে তিনি এসে বললেন, ভালো লাইন-লেন্থে বোলিং করেছি। তিনি আমাকে বারবার অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
সুমন খান বলেন, ‘ম্যাচ শেষে যখন আমি মুশফিকুর ভাইয়ের সাথে হাত মিলিয়েছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি তাকে আউটের জন্য ভালো বল করেছিলাম। প্রত্যেক সিনিয়র খেলোয়াড় যখন এমন প্রশংসা করে, তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে, এটি মাত্র শুরু। আমি মুশফিক ও রিয়াদ ভাইর সাথে খেলেছি এবং এখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে এ অভিজ্ঞতাটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবো।’
জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সেরা উপায় হলো এইচপি। এখন এটিই সুমন খানের প্রধান লক্ষ্য। বলেন, ‘এইচপি একটি ভালো প্লাটফর্ম। আমি এখানে আছি, আমার কোনও বয়স ভিত্তিক অভিজ্ঞতাও নেই। আমাদের নিজেদের দক্ষতা এবং সামর্থ্য বৃদ্ধির-উন্নতির জন্য বিসিবি ভালো সুযোগ দিয়েছে। তাই আমি বলবো, নিজেকে প্রস্তুত করতে এইচপি ভালো একটি জায়গা।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]