প্রেসিডেন্ট’স কাপে অঘোষিত সেমিফাইনালের তামিম একাদশকে ৭ রানে হারিয়ে দিয়েছে নাজমুল একাদশ। পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থেকে বাঁচা-মরার এ ম্যাচে হারের স্বাদ নেওয়া তামিম একাদশকে একই সাথে বিদায় নিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকেও।
বুধবার (২১ অক্টোবর) লিগ পর্বে শেষ ও ষষ্ঠ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৯.৩ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে নাজমুল একাদশ। বিপরীতে বৃষ্টি আইনে ৪১ ওভারে ১৬৪ রানের টার্গেট পেয়েও জয় তুলে নিতে পারেনি তামিম একাদশ। ৪০.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে তারা।
এ হারে ৪ ম্যাচে মাত্র ১টি জয়ে ২ পয়েন্ট তামিম একাদশের। ফলে লিগ পর্ব থেকে বিদায় ঘটলো তাদের। আর ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগের সেরা দল হয়ে ফাইনালে নাজমুল একাদশ। বাকি দল মাহমুদউল্লাহ একাদশের সংগ্রহ ৪ খেলা ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট।
বুধবার বৃষ্টির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ম্যাচটি ৪১ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। তার আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল একাদশ ভালো শুরু করতে পারেনি। টপ-অর্ডারে ৩ ব্যাটসম্যান ২৫ রানেই বিদায় নেন।
শুরুর ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে মিডল-অর্ডারে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। চতুর্থ উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ১১৫ রানে এ জুটি ভাঙেন সাইফুদ্দিন। ৭৫ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ রান করেন মুশফিক।
২৯তম ওভারে মুশফিকের বিদায়ের পর থামেন আফিফও। ৬১ বলে ৪টি চারে ৪০ রান করে মেহেদীর দ্বিতীয় শিকার হন আফিফ। মুশফিক-আফিফ ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল একাদশের পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের বড় স্কোর গড়ার সুযোগ দেননি সাইফুদ্দিন ও মোস্তাফিজ। নাজমুল একাদশকে ১৬৫ রানেই অলআউট করে দেয় তামিম একাদশ। বল হাতে সাইফুদ্দিন ৫টি এবং ফিজ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।
নাজমুল একাদশ ১৬৫ রানে গুটিয়ে গেলেও বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জয়ের জন্য ১৬৪ রানের টার্গেট পায় তামিম একাদশ। স্বল্প টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায় তামিম একাদশ। ৭ রান করা বিজয়কে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৪৫ বলে ২২ রান করে অঙ্কন থামলেও ইনিংস বড় করাতে মনোযোগি ছিলেন তামিম। আসরের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরিরও দেখা পান তিনি। তবে দলের স্কোর শতরানে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ৮৫ বল খেলে ৬টি চারে ৫৭ রান করে আবু জায়েদ রাহির বলে আউট হন তামিম।
দলীয় ১০১ রানে তামিমের বিদায়ের পর ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তামিম একাদশ। ইয়াসির আলি রাব্বি ৬, মোসাদ্দেক হোসেন ৬, শেখ মাহাদি হাসান ৪ ও আকবর আলী ১ রান করেন ফিরেন। মোসাদ্দেক-মেহেদী-আকবরের শিকারি ছিলেন তাসকিন। এছাড়া রাব্বিকে বোল্ড করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া তামিম একাদশকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে ৪০তম ওভারে তৃতীয় বলে মিঠুনকে ২৯ রানে থামিয়ে দেন আল-আমিন। ফলে শেষ ৯ বলে জয়ের জন্য তামিম একাদশের প্রয়োচন ছিল ১৬ রান।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২ উইকেট হাতে নিয়ে তামিমদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। তবে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তামিম একাদশ। ৮ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ-নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার।
স্কোর কার্ড (৪১ ওভার)
নাজমুল একাদশ : ১৬৫/১০, ৩৯.৩ ওভার (মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০; সাইফুদ্দিন ৫/২৬)
তামিম একাদশ : ১৫৬/১০, ৪০.৪ ওভার (তামিম ৫৭, মিঠুন ২৯; তাসকিন ৪/৩৬)।
ফল : নাজমুল একাদশ ৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাসকিন আহমেদ (নাজমুল একাদশ)
সেরা ব্যাটম্যান : মুশফিকুর রহিম (নাজমুল একাদশ)
সেরা বোলার : সাইফউদ্দিন (তামিম একাদশ)
সেরা ফিল্ডার : তামিম ইকবাল (তামিম একাদশ)।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]