মেহেদী হাসানের ব্যাটিং ও মোস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যে প্রেসিডেন্ট’স কাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তামিম একাদশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল একাদশকে ৪২ রানে হারিয়ে দিয়েছে তামিম একাদশ। এর ফলে বিসিবির এ টুর্নামেন্টে তিন দলই দু’টি করে ম্যাচ খেলে একটি করে জয় তুলে নিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল একাদশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপরীতে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি তামিম একাদশের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তানজীদ হাসান তামিম।
দলীয় ১৪ রানে তানজীদকে বিদায় করেন নাজমুল একাদশের পেসার আল আমিন হোসেন। ২টি চারে ৫ বলে ৮ রান করেন তানজীদ। এরপর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তামিম ও এনামুল হক বিজয়। তবে ৩০ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা। ১২ রান করা বিজয়কে শিকার করে জুটি ভাঙেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (৪) ব্যর্থ হন। মিঠুনের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামতে হয় অধিনায়ক তামিমকেও। মিঠুনকে আউট করা নাঈম হাসান ৪৫ বলে ৩৩ রান করা তামিমকেও বিদায় করেন। ফলে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তামিম একাদশ।
তবে দলের এ অবস্থা থেকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপু ও মোসাদ্দেক হোসেন। বড় স্কোর করার আভাস দিলেও এ জুটি বেশি দূর যেতে পারেনি। ৪০ রান যোগ করার পর দিপু ও মোসাদ্দেক শিকার করেন রিসাদ।
দিপু ৩১ ও মোসাদ্দেক ১২ রান করেন। তাদের পর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১২৫ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তামিম একাদশ। ফলে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তামিম একাদশ।
তবে সেটি হতে দেননি লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান। তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নবম উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন ৯ নম্বরে নামা মেহেদী। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেন মেহেদী। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৮২ রান করেন তিনি। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল তার এ ইনিংসে।
অন্যপ্রান্তে ৪৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে তামিম একাদশ। প্রথম ম্যাচে ১০৩ রানে অল-আউট হওয়া তামিম একাদশ এ ম্যাচে পায় লড়াকু স্কোর।
নাজমুল একাদশের আল-আমিন হোসেন ৪৩ রানে ৩ ও নাঈম হাসান-রিসাদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
লড়াকু পুঁজি পেয়ে আত্মবিশ্বাসী তামিম একাদশের বোলাররা ৭৪ রানের মধ্যে নাজমুল একাদশের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান। তামিম একাদশের তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম দুর্দান্ত বল করেন।
সাইফ হাসানকে ৭ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ১ রানে বিদায় করেন ফিজ। ৯ রান করা সৌম্য সরকারকে আউট করেন সাইফুদ্দিন। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ১৫ ও তৌহিদ হৃদয়কে ৪ রানে আউট করেন শরিফুল। ফলে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ।
সতীর্থ যাওয়ার আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ষষ্ঠ উইকেটে ইরফান শুক্কুরের সাথে ৫৯ রান যোগ করেন তিনি। শুক্কুরকে শিকার করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। এরপর আরও দু’উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ে পথে রাখেন তিনি। তবে নাজমুল একাদশের ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন মুশফিক।
শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। তবে ১০৩ রানে মুশফিককে শিকার করেন মোস্তাফিজ। ১০৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মুশফিক। এরপর ১৭৯ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। তামিম একাদশের শরিফুল ৪টি ও মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তামিম একাদশ : ২২১/৯, ৫০ ওভার (মেহেদী ৮২, তামিম ৩৩, দিপু ৩১, আল-আমিন হোসেন ৩/৪৩)
নাজমুল একাদশ : ১৭৯/১০, ৪৫.৪ ওভার (মুশফিক ১০৩, শুক্কুর ২৪, শরিফুল ৪/৩৭)।
ফল : তামিম একাদশ ৪২ রানে জয়ী।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]