ভারতীয় জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে গোপন করার অপরাধে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মাঝে এক বছর স্থগিত থাকায় চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে মুক্ত হচ্ছে সাকিব।
সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার পরপরই শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলে ফেরার কথা রয়েছে। বিসিবির পক্ষে থেকে এমনটাই নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর মাঝে আরও একটি বিষয় আলোচনা রয়েছে তা হলো- সাকিব আল হাসান জাতীয় দলে ফেরা মাত্রই কি নেতৃত্ব পাচ্ছেন? নাকি তাকে অপেক্ষা করতে হবে?
সম্পতি জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ‘নট আউট নোমান’র সাথে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলোদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাক্ষাৎকালে বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমাদের আসলে ফরম্যাট অনুযায়ী ক্যাপ্টেন আলাদা রাখতে পারলে ভালো হয়। ইনফ্যাক্ট আইডিয়া হচ্ছে আলাদা যদি টিম থাকে (তিন ফরম্যাটে)। এখন পুরো টিম তো আর আলাদা হবে না, অন্তত প্রতি ফরম্যাটের জন্য ৩-৪ জন স্পেশাল ক্রিকেটার পাওয়া যায়, বিশেষ করে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে, তাহলে ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া থেকেই আসছে যে, ক্যাপ্টেন আলাদা হলে ভালো হয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সাকিব হলে বা অন্য কেউ হলে পারবে না। একটা জিনিস ঠিক করেছি যে, যাকেই ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয়, এখন আমরা লং টাইমের জন্য দেব। ফর এক্সাম্পল, ওয়ানডেতে তামিমকে যখন দিয়েছি (নেতৃত্ব) এটা কিন্তু আমরা লং টাইমের জন্য দিয়েছি।’
লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়ক নির্বাচনের কারণ হিসেবে পাপন বলেন, ‘একটা সমস্যা কী, এই কয়েকদিন পরপর চেঞ্জ করলে অনেকে নিতেও চায় না, আনকমফর্টেবল ফিল করে। ওরা বলে যে, সুযোগ’ই পাইনি যে, আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে কেমন। সো, আমরা কিন্তু একটু লং টাইম’ই চিন্তা করছি।’
সাকিবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাকিব ডেফেনেটলি সবগুলোতেই হতে পারে (অধিনায়ক), কিন্তু আমাদের মাথায় ওইরকম কোন চিন্তা নাই; এই মুহূর্তে যে সব ফরম্যাটে সাকিব হবে।’
তবে সাকিবের সাথে তার সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সাকিবের সাথে সবসময় কথা হয়। ‘ও’ যখন লন্ডনে ছিল তখনও রেগুলার আমার সাথে কথা হয়েছে। কোচও যেকোন খেলার আগে তার (সাকিব) সাথে কথা বলে, সাকিব দলে না থাকলেও। কোচরা মনে করে ‘ও’ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, তারা মনে করে যে ম্যাচ সম্পর্কে ‘ও’ ভালো জানে। এটা কোচদের ধারণা, আমি বলছি না যে এটা আমার।’
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির পর তাকেই অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হতো।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটে তিনজন দায়িত্বে রয়েছে। ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল নেতৃত্ব পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেট মমিনুল হক এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিসিবি সভাপতির কথা এখন স্পষ্ট যে, সাকিব আল হাসান ফেরার পরপরই অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না। দলের বর্তমানে যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের আরও যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কেউ ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়ে নেতৃত্ব চলে যেতে পারে সাকিবের হাতে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]