ইংলিশ কাউন্টিতে ইর্য়কশায়ারের হয়ে খেলার সময় দর্শকদের কাছ থেকে বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেনদাবি পাকিস্তানের সাবেক পেসার রানা নাভেদ উল হাসান। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ইর্য়কশায়ারের হয়ে খেলার সময় বর্ণবাদী গালিগালাজের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী’ আচরণের কারণে ইয়র্কশায়ারের হয়ে খেলার সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে সম্প্রতি জানান পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত ৪১ বছর বয়সী ইংলিশ স্পিনার আজিম রফিক। আর তার কথা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন রানা।
রানা বলেন, ‘আজিম যা বলেছিলেন তা আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি এবং আমার ক্ষেত্রেও এটি হয়েছিল। একজন বিদেশি হিসেবে আমি কখনোই এ নিয়ে কথা বলিনি, কারণ আমরা অস্থায়ী ছিলাম এবং একইভাবে আমি এটি মেনে নিয়েছিলাম। এটি পদ্ধতিগতভাবে গালিগালাজ ছিল। এশিয়া থেকে বিদেশি খেলোয়াড় হিসাবে আপনি যখন পারফর্ম করতে পারবেন না, তখন বর্ণবাদী আচরণ করা লোকদের পরিবর্তে আমাদের নিজেদের দেশের মানুষের সমর্থন করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি পারফর্ম করতে থাকেন, তবে সমর্থন পাবেন কিন্তু উইকেট শিকার করতে না পারলে, হঠাৎ করেই সকলের মনোভাব পরিবর্তন হতে থাকে। মনোভাব পরিবর্তনে তারা আমাদের কঠিন অবস্থায় ঠেলে দেয়। আমাকে হোটেলে একটি ছোট রুম দেয়ার মধ্য দিয়েও বর্ণবৈষম্য ফুটে উঠে।’
এই মাসের শুরুর দিকে রফিক বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে হেডিংলিতে একজন মুসলমান হিসাবে তাকে কাউন্টিতে একজন ‘বহিরাগত’ বলে মনে করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, ইয়র্কশায়ারে আমি আত্মহত্যার কতটা কাছাকাছি ছিলাম। আমি বিশ্বাস করি ক্লাবটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী এবং আমি এটিও বিশ্বাস করি না যে, তারা সত্যকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত বা পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক ছিল। এখন আমার একমাত্র অনুপ্রেরণা হলো, অন্য কাউকে যেন একই রকমভাবে ব্যথা অনুভব করতে না হয়।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]