করোনাভাইরাসের মধ্যে ইংল্যান্ডে গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তারই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের আগে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে দেখতে চান দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান।
২০০৫-০৬ মৌসুমের পর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২০০৯ সালে সফরত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর জঙ্গি হামলা চালায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে গত এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সফর করেছে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ।
স্কাই স্পোর্টসকে খান বলেন, ‘২০২২ সালে ইংল্যান্ডের সফর করার কথা রয়েছে। আমরা তারও আগে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য তাদের দেখতে চাই। আমরা এটি নিয়ে ইসিবির সাথে কথা বলবো।’
বর্তমানে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলছে পাকিস্তান। সিরিজে তিন ম্যাচের টেস্ট খেলবে তারা। এর আগে জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংলিশরা। করোনাভাইরাসের মধ্যেও ব্রিটেনে ভ্রমণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের দরিদ্র দু’টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ।
ওয়াসিম সম্প্রতি পডকাস্টে বলেন, ‘২০২২ সফরকে সামনে রেখে পাকিস্তানের মত সঠিক কাজটি করবে ইংল্যান্ডও।’ এদিকে, পাকিস্তান সফর করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন ইংল্যান্ডের কোচ ক্রিস সিলভারউড। যুক্তি হিসেবে তিনি জানান, পাকিস্তান সুপার লিগে ইংল্যান্ডের বেশ কিছু খেলোয়াড় অংশ নিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সেখানে যেতে পারি। বক্তিগতভাবে, আমার কোন সমস্যা নেই। আমি কখনও পাকিস্তানে যাইনি, সেখানে গিয়ে আমার ভালো লাগবে।’
ইংল্যান্ডের সাবেক এই পেসার রসিকতা করে আরও বলেন, ‘আমি জানি, আমাদের দলের ব্যাটসম্যানরা তাদের উইকেটে ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় থাকবে। আমরা জন্য এটি দারুণ যে, এটি আলাপ-আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।’
এদিকে, বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের লড়াই সর্ম্পকে জানতে চাইলে, হতাশ হয়ে পড়েন ওয়াসিম। রাজনৈতিক টানা-পোড়েনের কারণে আইসিসি বা এসিসির ইভেন্ট ছাড়া কোন ম্যাচেই দু’প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার ম্যাচ দেখা যায় না। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর থেকে দু’দল কোন টেস্ট সিরিজ খেলছে না।
স্কাই স্পোটর্সকে তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের ভক্তদের কাছ থেকে যে কোন প্রশ্নের চেয়ে আমাকে অনেক বেশি জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত ও পাকিস্তান আবার খেলতে পারবে কি? আমি তাদেরকে বলবো, এটি কঠিন হতে চলেছে, যদি বর্তমান সরকার ভারতের ক্ষমতায় থাকে। আমরা বিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ পেয়েছি কিন্তু আমাদের সাথে পুনরায় খেলার অনুমতি পেতে তাদের সরকারের কাছে যেতে হবে। তবে শীঘ্রই যে তা ঘটবে, তা আমি দেখতে পাচ্ছি না।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]