একজন উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ নাম ডাক ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। তিনিই কি-না বেছে নিলেন সেরা চার উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান। তারা হলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও মার্ক বাউচার। তবে তাদের চার জনের মাঝে ধোনিকেই সেরা মানছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘এদের মধ্যে সেরা কে, এই প্রশ্নের জবাবে ধোনির নাম করতেই হবে। দেখুন, আমার নাম গিলি, তা বলে আমি ‘সিলি’ নই। অনেক ভেবেচিন্তেই বলছি। এক নম্বরে থাকবে ধোনি, তার পরে সাঙ্গাকারা, তিনে ব্রেন্ডন আর চারে বাউচার। বাউচারের দুর্ভাগ্য, ওর ক্রিকেট জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় চোখে চোট লাগায়। তবে এই চার জনই কিন্তু অসাধারণ ক্রিকেটার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধোনির ক্রিকেট জীবনটা আমি খুব ভাল ভাবে দেখেছি এবং আমার দারুণ লেগেছে। একটা দুরন্ত সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে তুলে ধরেছিল। তারপরে ওকে সবাই ভালবাসতে শুরু করে। যে ধরনের ক্রিকেটটা ও খেলত, তাতে খুব জনপ্রিয় হয়েও ওঠে। এর পরে বিশাল খ্যাতি, প্রাচুর্য সব কিছুরই মালিক হয়ে বসে ধোনি। ভারতের মতো একটা দেশে, যেখানে ক্রিকেট বলতে মানুষ পাগল, সেখানে এই নাম-যশ সামলানো কিন্তু মুখের কথা নয়। যেভাবে ধোনি নিজেকে সামলেছে সেটা এক কথায় অসাধারণ।’
সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা আলাদা করে মাঠে এবং মাঠের বাইরে ধোনির ঠান্ডা মাথার কথা বলেছেন। গিলক্রিস্টের কথায়, ‘মাঠে ধোনির ঠান্ডা মাথার পরিচয় পেয়েছি। মাঠের বাইরেও আমি যতটুকু ওকে চিনি, খুবই শান্ত প্রকৃতির। ওর প্রশংসা না করে উপায় নেই। ধোনির পরম্পরা প্রভাব ভারতীয় ক্রিকেট ও ভারতীয় সমাজের উপরে অনেক অনেক দিন থাকবে।’
উইকেট-রক্ষক হিসেবে ধোনির নামের পাশে রয়েছে ৬৩৪টি ক্যাচ এবং ১৯৫টি স্টাম্পিং। তবে ধোনির ব্যাটিং দক্ষতা তার কিপিংকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০,৭৭৩ রান রয়েছে সেরা ফিনিশারের। খোনে তার ব্যাটিং গড় ৫০.৮৩। ক্যাপ্টেন কুলের নেতৃত্বে ভারত জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]