ফ্র্যাঞ্চাইজি ইভেন্টের চুক্তি এবং আইসিসির ইভেন্ট থেকে খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানের বিষয়ে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সম্প্রতি ফিকার প্রকাশিত পুরুষ ক্রিকেটারদের ২০২০ সালের রিপোর্টে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ থাকা যে ৬টি টুর্নামেন্টকে চিহ্নিত করেছে, সেখানে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর একমাত্র প্রতিষ্ঠিত লিগ বিপিএল। বাকি টুর্নামেন্টগুলো হলো, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা, আবু ধাবি টি-টেন, কাতার টি-টেন, ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম ও মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বিপিএলের অর্থ প্রদানের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা উল্লেখ করেছে এবং আইসিসি ইভেন্টের পুরস্কার না দেওয়ার অভিযোগটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানায়, ‘বিসিবি পরিস্কারভাবে জানাতে চায় যে, শুধুমাত্র চারজনের বেতনের বিষয়টি অমিমাংসিত রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় ও একজন কোচ। ২০১৮ সালে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে অংশ নেওয়া কেবলমাত্র একটি দল এই কাজটি করেছে। ১৭০ জনেরও বেশি স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত লিগে এটি ছিল বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।’
‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের কোন এক সময় খেলোয়াড় ও কোচদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দায়িত্ব পালনের বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে এবং সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ করেনি। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের বেতন সরাসরি পরিশোধের দায়িত্ব ফ্র্যাঞ্চাইজির।’
‘বিসিবি পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে অভিযুক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে আইনগত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সিলেট সিক্সার্স তাদের কোচ ওয়াকার ইউনুস ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং তারকা ডেভিড ওয়ার্নারসহ আরও দুই খেলোয়াড়ের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘তাছাড়া ইভেন্টের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিসিবি বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করেছে এবং পরবর্তীতে অভিযুক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে অবশিষ্ট বেতন পরিশোধের বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম শুরু করেছে। এখানে উল্লেখ থাকে যে বিসিবি প্রত্যেকের সঙ্গে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তারা বিসিবির প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত রয়েছে।’
এদিকে আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানির টাকা পরিশোধ না করা সংক্রান্ত ফিকার অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিসিবি দাবি করেছে যে ইতোমধ্যে বোনাসের সব অর্থই পরিশোধ করেছে বোর্ড। ফিকার রিপোর্টের প্রতিবাদ লিপিতে বোর্ড জানায়, ফিকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তাদের খেলোয়াড়দের আইসিসি ইভেন্ট থেকে পাওয়া প্রাইজমানির অর্থ বিতরণ করেনি বলে যে অভিযোগ করেছে সেটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
‘আইসিসির বিগত সবগুলো ইভেন্টের প্রাইজমানিই ইতোমধ্যে বণ্টন করে দিয়েছে বোর্ড। এমনকি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রাইজমানিও। এমনকি কোন কোন খেলোয়াড়কে তার দক্ষতা অনুযায়ী বাড়তি প্রনোদনাও প্রদান করেছে বোর্ড ।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]