করোনাভাইরাসের কারণে কড়া প্রোটোকলের মাঝে দেশের ক্রিকেটারদের জন্য ঢাকাসহ দেশের চারটি ভেন্যুতে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। প্রথম পর্যায়ের অনুশীলন শেষে বিরতিতে যাচ্ছে ক্রিকেটাররা। ঈদের পর আবারও নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করবেন মুশফিক-শফিউলরা।
প্রাথমিকভাবে সাতদিনের ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিল। তবে খেলোয়াড়দের অনুরোধে আরও দু’দিন মোট ৯ দিন অনুশীলন করেছেন তারা। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) শেষ হয়েছে টাইগারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন।
১ আগস্ট (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের বিরতির পর আবারও নিজেদের ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করবেন ক্রিকেটাররা এবং পরের পর্বে আরও কিছু ক্রিকেটারের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ঈদের বিরতির পর ৮ আগস্ট (শনিবার) অর্থাৎ ১০ দিন পর আবারও শুরু হবে টাইগার ক্রিকেটারদের অনুশীলন।
এদিকে যদি খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ে তাহলে গ্রুপ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিবি। প্রতিটি গ্রুপে প্রাথমিকভাবে অল্প সংখ্যক খেলোয়াড় থাকতে পারেন। একই সাথে অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরুর করার চিন্তা করছে বিসিবি।
বিসিবির নেওয়া কড়া প্রোটোকলের মাঝে প্রথম পর্বে দেশের সর্বমোট ১৪ জন ক্রিকেটার বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুশীলন করেছিল। স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার জন্য নিজেরাই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ক্রিকেটাররা।
প্রাথমিকভাবে ১৯ জুলাই (রোববার) থেকে ৯ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে বিসিবি। দেশের চারটি ভেন্যু ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামে ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে বিসিবি। পরবর্তীতে নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য রাজশাহীকে ভেন্যু হিসেবে যোগ করা হয়।
ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ মিঠুন-শফিউল ইসলাম-ইমরুল কায়েস-তাসকিন আহমেদ মেহেদি হাসান রানা অনুশীলন শুরু করেন। পরবর্তীতে এনামুল হক বিজয় যোগ দেন। এছাড়া অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ-মেহেদি হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন অফ-স্পিনার নাঈম হাসান।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় শুরুতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে অনিচ্ছুক ছিল বিসিবি। তবে ৩৫ জন খেলোয়াড়ের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বোর্ড ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। যা ফিটনেস অনুশীলনের ওপর নির্ভর করেছিল।
বোলাররা বোলিং অনুশীলনের কোন সুযোগ পাননি। তবে তারা জগিং ও জিম করে সন্তুষ্ঠ ছিলেন। ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিল, সেটিও বোলিং মেশিনের মাধ্যমে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]