আধুনিক সময়ের উইকেটগুলো প্রায়শই ব্যাটিং সহায়ক বানানো হয়। যাতে করে ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান তুলতে পারেন আর দর্শকরা খেলা দেখে উপভোগ করেন। তবে আগের দিনে যা একেবারেই ভিন্ন। তবুও সেই সময়টাতে ব্যাট হাতে মাঠ কাঁপিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। যাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন ভারতের সুনীল গাভাস্কার।
টেস্টে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গিয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। এছাড়া ৩৪টি সেঞ্চুরি করে ডন ব্র্যাডম্যানকে টপকে গিয়েছিলেন তিনি। যা ছিল রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১২৫ টেস্টে ১০,১২২ রান করেছিলেন তিনি। তবে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক মনে করেন, গাভাস্কারের সেই সময়ের ১০ হাজার রান এখনকার সময়ে ১৫ হাজার বা ১৬ হাজার রানের সমান।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম উল হক বলেন, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করেন, তবে বলব যে গাভাস্কারের সেই সময়ের ১০ হাজার রান এখনকার সময়ে ১৫ হাজার বা ১৬ হাজার রানের সমান। রান তার চেয়েও বেশি হতে পারতো, কিন্তু কোনও ভাবেই কমতো না। সেই সময় অনেক গ্রেট খেলোয়াড়রা ছিলেন। তার আগেও ক্রিকেটে অনেক গ্রেটরা এসেছিলেন। জাভেদ মিয়াঁদাদ, ভিভ রিচার্ডস, গ্যারি সোবার্স, ডন ব্র্যাডম্যান। কিন্তু কেউই ১০ হাজারে পৌঁছনোর কথা ভাবেননি।’
এখন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বাইশ গজ অনেক বেশি সহায়ক হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘ফর্ম ভালো থাকলে এখন এক মৌসুমে ১০০০ থেকে ১৫০০ রান করা সম্ভব। কিন্তু সুনীল যখন খেলতেন, তখন পরিস্থিতি এমন ছিল না। এখন পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট তৈরি করা হয়, যাতে বেশি রান আসে। আইসিসিও চায় যে ব্যাটসম্যানরা রান করুক, যাতে দর্শকরা উপভোগ করেন। কিন্তু আগেকার দিনে উইকেট মোটেই ব্যাটিংয়ের পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরে খেলার সময়।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]