ক্রিকেটের জন্মটা ইংল্যান্ডে হলেও তাদের জন্য বিশ্বকাপ জেতার আনন্দটা উপভোগ করাটা ছিল স্বপ্নের মতো। কারণ এতো দিনের ক্রিকেটের পথচলায় কখনও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা। তবে ইয়ান মরগানের অধিনায়কত্বে ২০১৯ বিশ্বকাপে সে আক্ষেপ পূরণ হয় ইংল্যান্ডের। প্রথমবারের মতো উঁচিয়ে ধরে স্বপ্নের সোনালী ট্রফি।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই, লর্ডসে শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে ইংলিশরা। প্রথমে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপারে ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারি সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হয়েও সেভাবে তারকা খ্যাতি পাননি মরগান। তবে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর রাতরাতি তারকা বনে গেছেন এই ইংলিশ অধিনায়ক। তিনি জানিয়েছেন, আমার জীবন বদলে গেছে আর এখন আমাকে অনেক মানুষ চেনে। সেই সাথে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, খেলাটার ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাইরে গেলেই, রাস্তায় বা পাবে বা ক্যাফেতে, লোকে আমাকে দেখলে ছুটে আসছে। শুধু দেশেই নয়, আমরা যখন ছুটিতে যাই, কেউ হয়তো কোনো টেনিস ম্যাচ বা গ্রাঁ প্রিঁ দেখতে গেল, সেখানেও একই চিত্র। কিংবা পাশের বাসায় চিৎকার শুনে কেউ হয়তো ভাবছে, তারা কী দেখছে!’
‘পুরো ব্যাপারটিই হচ্ছে ক্রীড়ার উৎসবের আর লোকে ট্রফি জিততে ভালোবাসে। ক্রিকেটের গুরুত্ব অবশ্যই বেড়ে গেছে এবং এভাবেই আমার জীবন বদলে গেছে। লোকে এখন আমাকে অনেক বেশি চেনে। জীবনে কোনো কিছুর জন্য বেশি পরিশ্রম করলে, সেটি বিশ্বকাপের জন্য হোক বা স্রেফ একটি ফরোয়ার্ড ডিফেন্সের জন্য, খাটুনি যত বেশি, ফল পেলে তৃপ্তিও মেলে বেশি। এটাই মানুষের ধরন, আমি এমনটিই মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই দিনটির নাটকীয়তা আসলে খেলাটির দারুণ বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। ফাইনালটি আসলে ক্রিকেটের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। এটি আসলে ব্রিটিশ ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা দিনগুলির একটি হয়ে উঠেছে এবং এভাবেই থাকবে আরও অনেক দিন। এটি আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]