২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতের কাছে ‘বিক্রি করেছিল’ শ্রীলঙ্কা! সম্প্রতি সময়ে এমন মন্তব্য করেন তৎকালিন ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানান্দা আলুথগামগ। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর এমন অভিযোগে নড়েচড়ে বসে শ্রীলঙ্কার সরকার। তারই ফলশ্রুতিতে সুষ্ঠ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান সরকার।
শ্রীলঙ্কা সরকারের কথা মতো বুধবার (১ জুলাই) থেকে তদন্ত শুরু করেছিল দেশটির পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তিনদিনের তদন্ত শেষে হঠাৎই শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে তদন্তের ইতি টানে শ্রীলঙ্কা। দেশটির পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ইতি টানার পর ২০১১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে মুখ খুলে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা অ্যান্টি-করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) জানায়, ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। ওই ম্যাচে ফিক্সিংয়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর এমন অভিযোগের পর গোয়েন্দা বিভাগকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল শ্রীলঙ্কা। তদন্তের শুরুর দিনে বুধবার (১ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৎকালীন প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে ডাকা হয়। ডি সিলভাকে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা জেরা করে তদন্ত কমিটি। ডি সিলভার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ওই ফাইনালে ৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ২০ বলে ২ রান করা ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে।
ডি সিলভা ও থারাঙ্গার পর বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) জেরা করার জন্য ডাকা হয়েছিল ওই বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে। সাঙ্গাকারারে টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। জেরা করার সময় সাঙ্গাকারা জানান, তদন্তটা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের ওপর ছেড়ে দিতে।
সাঙ্গাকারার পর জেরা করা জন্য ডাকা হয়েছিল সেই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও। তবে মাহেলাকে ডাকা হলেও তাকে জেরা না করে তদন্ত সমাপ্তের ঘোষণা করে কমিটি। এএফপিকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওরা যেভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এখন আমরা তদন্তের সমাপ্তি টেনে দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ‘আমরা অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ফাইনাল ম্যাচে কেন দলে বদল করা হয়েছিল সেই ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি। তারা ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেই ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট। সব শুনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এখানে কোনো ভুল নেই। তদন্ত চালিয়ে আমরা কোথাও কারো কোনো দোষ-ত্রুটির প্রমাণ পাইনি। এই তদন্ত আর হবে না, বন্ধ।’
তদন্ত ইতি টানার পর ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে বিবৃতি দেয় খোদ আইসিসি। আইসিসির আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল।
তিনি বলেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। ওই বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে সম্প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আইসিসি। সেই অভিযোগ প্রমাণ করা কিংবা একে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনো প্রমাণাদি আমাদের হাতে নেই। কিংবা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোডের অধীনে এই অভিযোগের এমন কোনো ভিত্তিও নেই যে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]