কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে আফ্রিকান-আমেরিকান সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুতে পিষে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য পুলিশ। তারপরই বিশ্বজুড়ে তীব্রভাবে শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পরে দেশ থেকে দেশান্তরে।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ কিংবা ফুটবল মাঠে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ফুটবলাররা। মাঠে ক্রিকেট না ফিরলেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামি ও ক্রিস গেইলরা। এবার তাদের সাথে যোগ দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
বিবিসি স্পোর্টসকে হোল্ডার বলেন, ‘আমি মনে করি না ডোপিং বা ফিক্সিংয়ের চেয়ে বর্ণবাদের জন্য ভিন্নতর শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা যদি আমাদের খেলাধুলায় কোন সমস্যা পাই তাহলে তা সমানভাবে দেখা উচিত।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (আইসিসি) বর্ণবাদবিরোধী বিধিমালা অনুযায়ী কোনও খেলোয়াড় তিনবার বিধি ভঙ করলে আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন। প্রথমবার বর্ণবাদী অপরাধে কোনও খেলোয়াড় চার টেস্ট ও আটটি ওয়ানডে ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারেন।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার আন্দিলে ফিলকেয়াওয়ের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করার দায়ে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্ণবাদকে ডোপিং বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’ আর এ জন্য কোনও সিরিজ শুরু হওয়ার আগে যেমন খেলোয়াড়দের ডোপিং বা ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়ে সতর্ক করা হয়, বর্ণবাদ নিয়েও সেরকম সতর্ক করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ‘আমার বার্তাটা হলো বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে আমাদের আরও শিক্ষা দরকার।’
নিজে অবশ্য কখনও বর্ণবাদী আচরণের শিকার হননি, তবে চারপাশ থেকে কিছু ঘটনা শুনেছেন , দেখেছেন তাতে খুশি নন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আগে কখনও বর্ণবাদের স্বীকার হইনি, তবে কয়েকটি ঘটনা দেথেছি ও শুনেছি। এটা নিয়ে আপনি চলতে পারেন না।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]