দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরেই হঠাৎই বিয়ে করেন জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী সৈয়দা রাবেয়া নাঈমার সঙ্গে অনেকটা ঘরোয়াভাবেই গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। এদিকে বিয়ের মাস তিনেকের মধ্যেই ‘স্ত্রীকে মারধরের’ অভিযোগ সম্পর্কিত একটি সংবাদকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই টাইগার পেসার। বলছেন, প্রয়োজনে আইনের ব্যবস্থা নেবেন।
জানা গেছে, প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ‘গুজব’। এরপর কিছু অনলাইন পোর্টালেও নিউজ করা হয় বিষয়টি নিয়ে। পরে খবরটি নজর আসে তাসকিনের।
বিষয়টি পুরোপুরি গুজব বলে দাবি করেছেন তাসকিন। তিনি বলেন, পোর্টালগুলো তাদের নিউজ হিট বাড়ানোর জন্যই এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে জানান, স্ত্রী রাবেয়া ও পরিবার নিয়ে ভালোই রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে তাসকিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘একটা বিষয় আমাকে এবং আমার পরিবার কে খুব মর্মাহত করেছে।আপনাদের দোয়ায় আমি ও আমার সহধর্মিণী নাঈমা ভালো আছি আর এভাবেই ভালো থাকতে চাই আপনাদের দোয়ায়।’
‘গণমাধ্যম আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে এই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় দলের বাইরে থাকায় আমার মন স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা খারাপ, জাতীয় দলে ফিরতে যখন আমি নিজের পারফরমেন্স নিয়ে চিন্তিত তখন কোন এক গণমাধ্যম আমার এবং নাঈমার সংসার জীবন নিয়ে নেতিবাচক মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। যে কারণে আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে সমাজের কাছে।’
‘দয়া করে আমার এবং আমার পরিবার কে বুঝবেন। সবার কাছে আমার চাওয়া আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যেন আবার জাতীয় দলে ফিরে আসতে পারি....’
এছাড়া প্রথম আলো পত্রিকায় তাসকিন জানান, ‘এসবের কোনো অর্থ আছে? বিয়ের সময় একবার কিছু পোর্টালে আমাকে নিয়ে আজেবাজে খবর প্রকাশ করল। এখন আবার পেছনে লেগেছে। কারা এসব খবর প্রকাশ করে বলতে পারেন? আমি এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশ দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে এতটুকু সম্মান কি পেতে পারি না?’