দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছরের সফরের পর দেশের মাটিতেও ব্যর্থ বাংলাদেশের পেসাররা। তবে টাইগার পেসারদের ভালো খেলার ধারাবাহিকতা চান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে তাই তাদের নিয়ে বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পে ব্যস্ত কোর্টনি ওয়ালশ। শিষ্যদের স্কিল নিয়ে নিবিড় কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ।
মার্চের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। টুর্নামেন্টের আগে রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনদের সেরা ছন্দে ফেরাতে উন্মুখ ওয়াল।
তিনি বলেন, আমরা ঘরের মাটিতে ভালো করতে পারিনি। সামনে শ্রীলঙ্কায় আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং সিরিজ আছে। শেষ সিরিজে যা হয়েছে আমাদের ভুলে যেতে হবে। আর সামনে যা আসছে তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ক্যাম্পের প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে ওয়ালশ জানান, ক্যাম্পে পেস বোলিংয়ের মৌলিক ব্যাপারগুলো নিয়ে শিষ্যদের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। আমরা ধারাবাহিকতার ওপর মনোযোগ দেব। যতটা চেয়েছিলাম শেষের দিকে ততটা ধারাবাহিক বোলিং আমরা করতে পারিনি। ওরা যদি ধারাবাহিক হতে পারে তাহলে ১০ বারের মধ্যে আটবারই তা ওদের পক্ষে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, স্কিলের পাশাপাশি মাঠে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বোলারদের মানসিক দিক নিয়েও কাজ করবেন পেস বোলিং কোচ। আসন্ন সিরিজে নিজেদের ভূমিকাটা ওদের বুঝতে হবে। ক্যাম্প থেকে ওরা শিখবে পেস বোলিংয়ের জন্য কতটা কঠোর পরিশ্রম দরকার হয়। আমরা এটাকে যতটা সম্ভব সরল রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ক্যাম্পে বোলারদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করব। ওরা খেলে এমন সব কন্ডিশনে কি করতে হবে তা যতটা সম্ভব এই ক্যাম্পে শেখার সুযোগ ওদের সামনে। পেসারদের সামনে। মাঠে ওদের যে কোনো কিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে।
১৪ পেসার ও পাঁচ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মিরপুরে শুরু হয় ক্যাম্প। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ক্লাস চলেছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ালশ জানালেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে অন্য সবার মতো তিনিও অসন্তুষ্ট। সামনে ভালো করতে ওয়ালশ চান পুরোনো ব্যর্থতা ভুলে যেতে। শিষ্যদের দিয়েছেন এ বার্তা, ঘরের মাঠে আমরা ভালো করিনি। শ্রীলঙ্কায় আমাদের চ্যালেঞ্জিং সিরিজ অপেক্ষা করছে। শেষ সিরিজে কী হয়েছে সেটা আমাদের ভুলতে হবে। সামনে আমাদের কী আসছে সেটায় মনোযোগী হতে হবে।
ক্যাম্প নিয়ে তার ভাষ্য, আমরা পেসারদের ধারাবাহিকতায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা যে ধারাবাহিকতায় বোলিং করতে চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি। এ জন্য ধারাহিকতায় জোর দিচ্ছি। তাদেরকে নিজেদের ভূমিকা বুঝতে হবে।
১৪ পেসারের মধ্যে পাঁচজনই ওয়ালশের ক্লাসে নতুন। তারা হলেন, হাসান মাহমুদ, মো. রবিউল, খালেদ আহমেদ, কাজী অনিক ও হোসেন আলী। নতুনদের নিয়ে বড় পরিকল্পনায় এগোতে চান ওয়ালশ। পুরোনো শিষ্যদের ভুলগুলো শুধরে নতুনদের গড়তে চান সেরাদের মতো করে।
তার ভাষায়, নতুন কয়েকজনকে দেখলাম। তারা নিজেরা কতুটুক সামর্থ্যবান সেটা আজ দেখলাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রত্যেককে নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা কাজ করব। আর সবাইকে দলগতভাবে ভালো করতে হবে। আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির জন্য। আমি তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।