১৯৯৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ওই সফরের পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন তিনি। কারণ অধিনায়কত্বের চাপ ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছিল। ওই সময় ভারত জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা চাঁদু বোর্দে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেই অধিনায়কত্ব ছাড়েন শচীন। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও টেন্ডুলকারকে অধিনায়কত্বের চেয়ারে রাখতে পারেননি নির্বাচকরা। তাই সৌরভ গাঙ্গুলির হাতেই তুলে দেওয়া ভারতের অধিনায়কত্বের ভার।
এ ব্যাপারে বোর্দে বলেন, ‘আমরা টেন্ডুলকারকে অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাই। সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। কিন্তু দেশে ফেরার পরে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন তিনি। কারণ হিসেবে টেন্ডুলকার বলেছিল, আমি নিজের ব্যাটিংয়ে মন দিতে চাই। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি, নেতা হিসেবে দীর্ঘ দিন তাকে রাখতে চাই।কারণ আমরা নতুন প্রজন্মের কারও হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই।’
টেন্ডুলকার না করলেও বোর্দে তাকে অধিনায়ক হিসেবে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তার চেষ্টায় নির্বাচক প্যানেলের অনেকেই ক্ষেপে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত টেন্ডুলকার ইচ্ছা মেনে নেন বোর্দে। ভারতের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয় গাঙ্গুলির উপর।
বোর্দে বলেন, ‘টেন্ডুলকার বারবার আমাদের বুঝানোর চেষ্টা করছিল, অধিনায়কত্ব করতে গিয়ে তার ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়ছে। মন দিয়ে ব্যাটিং করতে পারছে না। তারপরও আমি বোঝানোর চেষ্টায় ছিলাম। তাই আমার বেশ কয়েক জন সতীর্থ রেগে গিয়ে আমাকে বলেছিল, কেন বারবার করে তাকে জোর করছি। উত্তরে তাদের আমি বলেছিলাম, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পরিকল্পনা করছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেন্ডুলকারকে দায়িত্বে রাখা গেল না। তাই গাঙ্গুলির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]