চলতি বছরের মে মাসে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছ থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ধার নিয়েছিল ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক সঙ্কটে পড়ায় বাধ্য হয়েই ইসিবির কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওই অর্থ দিয়ে খেলোয়াড়দের বেতনভাতা ও ম্যাচ ফি পরিশোধ করা হয়। কিন্তু সেটি সফরে যাওয়ার কোন শর্ত ছিল না বলে জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড সভাপতি রিকি স্কেরিট। ইসিবির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
আইসিসির কাছ থেকে না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই ইসিবির কাছে থেকে অর্থ ধার নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতদিন সেই ধার নেওয়া টাকা নিয়ে কোন কথা না উঠলেও এখন কথা উঠেছে। কারণ করোনাভাইরাসের মধ্যেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে এখন ইংল্যান্ডে রয়েছে ক্যারিবীয়রা। তাই প্রশ্ন উঠেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকার পরও ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার শর্তেই কি ইসিবির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ?
কিন্তু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কেরিট। তিনি বলেন, ‘এই সফরটি কখন হবে, সেটিই মূখ্য ছিল। তবে ইসিবি যদি আমাদের মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের আশ্বস্ত করতে পারে যে, খেলোয়াড় ও স্টাফদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ন্যূনতম ঝুঁকি থাকছে না। তাহলে সেখানে অর্থ কোন বিষয়ই নয়। সফরটি করার সাথে অর্থের কোন সর্ম্পকই ছিল না। বেতন বন্ধ রেখে কোন ব্যবসা করার উপায় নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের।’
স্কেরিট আরও বলেন, ‘আমাদের জরুরিভাবে নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। আইসিসির সাথে যোগাযোগ করে বুঝতে পেরেছিলাম, অনুমোদন পেতে অনেক সময় লেগে যাবে এবং তখন বোর্ডের নগদ অর্থের কোন উৎস ছিল না।’
তিনি আরও জানান, ‘অগ্রীম অর্থ পেতে পারে কি-না ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড ইসিবির কাছে তা জানতে চেয়েছিল। এতে আইসিসিও নিশ্চয়তা দেয়। আইসিসি জুলাইয়ে ফেরত দেওয়ার শর্তে ইসিবি রাজি হয়েছিল। আইসিসির ফিন্যান্সসিয়াল কর্মকর্তারা এমন চুক্তিতে সর্বদা সচেতন ছিলেন এবং দ্রুত ধারের চুক্তিতে রাজি হন।
আইসিসির সভাপতির পদের জন্য এগিয়ে থাকা ইসিবির প্রধান কলিন গ্রেভস ধার পেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহায়তা করছিল বলেও স্বীকার করেন স্কেরিট।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]