প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে ভারত জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পুরো ভারত জুড়ে ১৫ এপ্রিল (বুধবার) পর্যন্ত এ লকডাউন। এতে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।
চলতি মাসের ২৯ তারিখ (২৯ মার্চ) থেকে আইপিএলের ১৩তম আসর শুরুর সূচি ছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। যেখানে ঠিক তারিখ (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত লকডাউন থাকছে পুরো ভারত।
লকডাউনের কারণে আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে আইপিএল। ২১ দিনের লকডাউন শেষে বাতিল হতে পারে আইপিএল। যা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কথায় শঙ্কা আরও বেড়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি এ মূর্হুতে কিছুই বলতে পারছি না। স্থগিতের দিন আমার যেখানে ছিলাম, এখন সেখানেই রয়েছি। গত ১০ দিনে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। তাই, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন উত্তর নেই।’
গত সপ্তাহে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে টেলি কনফারেন্স করেছেন গাঙ্গুুলি। মঙ্গলবার আবারও আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে টেলিফোনে কনফারেন্স করার কথা ছিল তার। তবে সেটি আর হয়নি, বাতিল করা হয়। এরপর আর কোন আলোচনার দিন ধার্য করেনি বিসিসিআই। যদি লকডাউনের সময় সীমা বেড়ে যায় তাহলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে বিসিসিআই।
গত ১৪ মার্চের (শনিবার) আলোচনায় আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের পরিকল্পনা ছিল মে মাসের শেষের দিকে বা জুনের প্রথম দিকে পরবর্তী আসর শুরু করা। তবে দিন দিন পুরো বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই ও আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সবধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষীক সিরিজ ছাড়াও ঘরোয়া আসরও স্থগিত হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিক। এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কোপা আমেরিকা ও ইউরো কাপ ফুটবল।