নারী আইপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েই ভারতীয় বোলার শিখা পান্ডের কাছ থেকে বোলিংয়ের কারিকুরি শিখে ফেলেন বাংলাদেশের পেসার জাহানারা আলম। এমনটাই এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন তিনি। তিনি কতটা বোলিং রপ্ত করতে পেছেন সেটাও দেখা গেলো নারী আইপিএলর ফাইনালে।
দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া জাহানারা প্রথম ম্যাচে অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি। কিন্তু ফাইনালে দেখিয়ে নিজের কারিশমা। ৪ ওভার বলে করে দুই উইকেট নিয়ে তার দল ‘টিম ভেলোসিটি’ কে সেরা বোলিং উপহার দিয়ছেন। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতার কারণে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি জাহানারা। সুপারনোভারের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যায় টিম ভেলোসিটি।
দ্বিতীয় বারের মতো হওয়া নারীদের আইপিএল বা উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টটি শুরু হয় তিন দল নিয়ে। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে টুর্নামেন্টটি খেলার সুযোগ পান জাহানারা।
শনিবার ভারতের জয়পুরে সুপারনোভার টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমে টিম ভেলোসিটির মাত্র দুই রানে হারিয়ে বসে দুই উইকেট। ফলে ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যায় জাহানার দল।
টিম ভেলোসিটির টপ অর্ডার ও মিডিল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা এ দিন ছিল আসা যাওয়ার মধ্যে। তবে মান বাঁচায় নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা। অলরাউন্ডার এমেলিয়া কেরের ৩৬ এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সুসমা বর্মার অপরাজিত ৪০ রানই দলের সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তোলে। তবে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান নি জাহানারা।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সুপারনোভারও শুরুতে উইকেট হারিয়ে বসে। মাত্র ৯ রানে সাজঘরে ফিরে চামারী আতাপাত্তু। তবে জেমিমাকে সাথে নিয়ে ওপেনার প্রিয়া পুনিয়া জুটি গড়েন। তাদের জুটি ৪৪ রানে জুটিই দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেয়।
এরপর হারমানপিত কাউরের ৩৭ বলে ৫১ রান সুপারনোভারকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে সুপারনোভার।
ভেলোসিটির হয়ে জাহানারা আলম ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।