দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবার নাম বদলে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাতে ভাগ্যও পাল্টেছে তাদের। ২০১২ সালের পর প্রথমবার প্লে অফ নিশ্চিত করেছে তারা। রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ১৬ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে পরের পর্বের টিকিট পেলো দিল্লির এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
শুধু প্লে অফই নয়, চেন্নাই সুপার কিংসকে টপকে শীর্ষে উঠেছে প্রথম দুই আসরের সেমিফাইনালিস্টরা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট দিল্লির। সমান খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চেন্নাই, শনিবারই তাদের প্লে অফ নিশ্চিত হয়। ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে বেঙ্গালুরু, এখনও গাণিতিকভাবে তাদের সেরা চারে ওঠার সুযোগ আছে।
ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে ব্যাটিং নেয় দিল্লি। শিখর ধাওয়ান ও শ্রেয়াস আয়ারের হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে তারা। বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স জবাব দিতে পারেননি। বড় লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে বেঙ্গালুরু ৭ উইকেট হারিয়ে থামে ১৭১ রানে।
পৃথ্বি শ (৮) বিদায় নিলে দিল্লির ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর ধাওয়ান ও আয়ারের ৬৮ রানের জুটিতে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৫০ রান করে ধাওয়ান ফিরে গেলে প্রতিরোধ গড়েন আয়ার। দিল্লির এই অধিনায়ক আউট হন ৫২ রানে।
১৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ঝড় তোলেন শেরফানে রাদারফোর্ড। অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে ৪৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন তিনি। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড। ১৬ রানে খেলছিলেন প্যাটেল।
যুজবেন্দ্র চাহাল বেঙ্গালুরুর পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে পার্থিব প্যাটেল ও কোহলি ঝড় তোলেন। মাত্র ৫.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান যোগ করে বিদায় নেন পার্থিব। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রান করেন তিনি। এরপর কোহলি (২৩) ও ডি ভিলিয়ার্স (১৭) দ্রুত বিদায় নেন।
শিবাম ডুবে (২৪) ও গুরকিরাত সিংয়ের (২৭) ব্যাটে লড়াই করে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তারা আউট হলে এতে যোগ দেন মার্কাস স্টোইনিস। কিন্তু শেষ দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর মাশুল দিতে হয় বেঙ্গালুরুকে। ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টোইনিস।
দিল্লির পক্ষে কাগিসো রাবাদা ও অমিত মিশ্র সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।