আজিঙ্কা রাহানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও হারের স্বাদ পেল রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা রাজস্থান রয়্যালস ধাক্কা খায় দ্বিতীয় ওভারেই। ওপেনার সঞ্জু স্যামসন রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। আরেক ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে আর অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ মিলে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। দুজন মিলে গড়েন ৭২ বলে ১৩০ রানের জুটি। দুজনেই পার করেন অর্ধশতক। আজিঙ্কা রাহানে ছুটে গেলেও ৫০ রান করে থামেন শটিভ স্মিথ। ৩২ বলে ৫০ রান করে বিদায় নেন অক্ষর প্যাটেলের বলে। তার ইনিংসে ছিল আট চার।
বেন স্টোকস আর অ্যাশটন টার্নার ফিরে যান দ্রুত। এক প্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে। ৮ বলে ৮ রান করে বেন স্টোকস শিকার হন ক্রিস মরিসের।পরের ওভারে ০ রান করে ফিরে যান অ্যাশটন টার্নার। আগের ম্যাচেও ০ রান করেছিলেন তিনি। এরপর স্টুয়ার্ট বিনিকে সাথে নিয়ে আজিঙ্কা রাহানে গড়েন ২৪ রানের জুটি। ১৩ বলে ১৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদের বলে বোল্ড হন স্টুয়ার্ট বিনি।
ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে টিকে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। শতক তুলে নেন তিনি। অপরাজিত ছিলেন ৬৩ বলে ১০৫ রান করে। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১১ চার আর ৩ ছক্কায়। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। কাগিসো রাবাদা নেন দুই উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন ইশান্ত শর্মা, অক্ষর প্যাটেল আর ক্রিস মরিস।
বড় স্কোর তাড়া করতে নামা দিল্লী ক্যাপিটালসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। যেমন সূচনা চাই, ঠিক তেমনটাই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান আর পৃথ্বী শ। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে রান হয় ৫৯। রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। তাকে থামান শ্রেয়াস গোপাল। দলীয় ৭২ রানের মাথায় ২৭ বলে ৫৪ রান করে বিদায় নেন শিখর ধাওয়ান। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার আর ২ ছক্কা।
পরের ওভারে শ্রেয়াস আইয়াসকে ফিরিয়ে দেন রিয়ান পরাগ। ৫ বলে ৪ রান করে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দেন শ্রেয়াস আইয়ার। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লী ক্যাপিটালস।
এরপর দলকে পথ দেখান পৃথ্বী শ আর রিশাভ পান্ট। দুজন মিলে হাল ধরেন দিল্লী ক্যাপিটালসের। তাদের ব্যাটে ভর করে জয়ের আশা জ্বলে থাকে দিল্লী ক্যাপিটালসের।
জোফরা আর্চারের করা ১৬ তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়েও অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিশাভ পান্ট। শেষ বলে অল্পের জন্য বেঁচে যান পৃথ্বী শ। বল বেইলে আঘাত করলেও তা না নড়লে বেঁচে যান তিনি। পরের ওভারে শ্রেয়াস গোপালের ওপর চড়াও হন রিশাভ পান্ট। নো বল আর ফ্রি হিটে চার মেরে দলের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন। ঐ ওভারে পৃথ্বী শকে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন শ্রেয়াস গোপাল। ৩৯ বলে ৪২ রান করে বিদায় নেন পৃথ্বী শ। পরের ওভারে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান শেরফেন রাদারফোর্ড। কিন্তু তার ঝড় দীর্ঘায়িত হতে দেননি ধাওয়াল কুলকারনি। ঐ ওভারের শেষ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন রিয়ান পরাগের হাতে।
১৯ তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান রিশাভ পান্ট। শেষ ওভারে মাত্র ছয় রান প্রয়োজন ছিল দিল্লী ক্যাপিটালসের। প্রথম বলে প্রান্ত বদল করে কলিন ইনগ্রাম স্ট্রাইক দেন রিশাভ পান্টকে। মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিশাভ পান্ট। ৬ চার আর ৪ ছক্কা হাঁকানো রিশাভ পান্ট অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৭৮ রান করে।