ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেদের সীমার মধ্যে দিল্লিকে আটকে রেখেও হারের স্বাদ গ্রহণ করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের দুই তারকা ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। তবে সেই হায়দরাবাদ নিজেদের পাতা বোলিং ফাঁদে পড়ে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে।
রোববার আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে হায়দরাবাদ। এই ম্যাচেও বাংলাদেশি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে একাদশে রাখা হয়নি। এছাড়া মোহাম্মদ নবীকেও একাদশের বাইরে রেখে তার পরিবর্তে দলে ফিরেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
১৫৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ৫৯ বলে ৭২ রান যোগ করে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ ৬১ বলে প্রয়োজন ছিল ৮৪ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট। অথচ ৪৪ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ ১৫ রান তুলতে হায়দরাবাদ হারায় ৮ উইকেট।
সাকিবদের হায়দরাবাদকে ৩৯ রানে হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় দিল্লি ক্যাপিটাল। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কিমু পল ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে টপ অর্ডারের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। বাকি কাজটা সারেন রাবাদা ও ক্রিস মরিস।
হায়দরাবাদকে হারিয়ে উল্লাসে মাতেন দিল্লির খেলোয়াড়রা, ছবি- বিসিসিআই
খেলায় দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার রাবাদা ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দিয়ে মূল্যবান ৪ উইকেট শিকার করে হায়দরাবাদের ইনিংসে ধস নামান। আর দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটাল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার। এছাড়া ৪০ রান করেন কলিন মুনরো। হায়দরাবাদের হয়ে ৩ উইকেট নেন খালিদ আহমেদ। ২টি উইকেট নেন ভুবেনেশ্বর কুমার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ১৫৫/৭ (স্রেয়াশ ৪৫, মুনরো ৪০; খালেদ ৩/৩০)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : ১৮.৫ ওভারে ১১৬/১০ (ওয়ার্নার ৫১, বেয়ারস্ট্রো ৪১; রাবাদা ৪/২২)
ফল : দিল্লি ক্যাপিটালস ৩৯ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : ক্যামো পাউল (দিল্লি ক্যাপিটালস)।