পর পর তিন ম্যাচ হেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান শুষ্ক হাসিতে একটু বাধ্য হয়েই বিজয়ী চেন্নাই সুপার কিংসকে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন। শাহরুখের মন খারাপের কারণ শুধু হার নয়, এ যে নিজের ঘরে এসে জয় ছিনিয়ে নেওয়া মতো কষ্ট।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করেছে চেন্নাই। কলকাতার দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য সুরেশ রায়নার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই জয় পায় চেন্নাই।
কলকাতার দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাইয়ের ফাফ ডু প্লেসিস-শেন ওয়াটসন ছোটখাট ২৯ ওপেনিং জুটি গড়েন। ওয়াটসন ফিরেন ৬ রানে।
এর ওভার পরেই সুনিল নারিনের শিকান হয়ে সাজঘরে ফিরেন ডু প্লেসিস। তিনি ১৬ বলে ২৪ রান করেন। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চেন্নাই। তবে চাপ থেকে মুক্ত করতে ব্যাটিংয়ে নেমে এক পাশ আগলে রাখেন সুরেশ রায়না।
তবে সতির্থ কোন ব্যাটসম্যারে সাথে বড় জুটি গড়তে পারেননি রায়না। কারণ চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। আম্বাতি রাইডু(৫), মহেন্দ্র সিং ধোনি (২০), কেদার যাদভের (১৬) সাথে ছোট ছোট জুটি গড়েন রায়না।
তবে শেষের দিকে রবিন্দ্র জাদেজা সাথে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন রায়না। দুজনে মিলে ৪১ রানের জুটিই চেন্নাইকে জয় উপহার দেয়।
শেষ দুই ওভারে চেন্নায়ের দরকার ছিল ২৪ রান। ১২ বলে ২৪ রান কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। তবে ভাগ্যটা বোদহয় কলকাতার দিকেই ঝুলে ছিল। কারণ ইডেন গার্ডেনস তখনই কলকাতা কলকাতা ধ্বনিতে মুখরিত ছিল।
কিন্তু হ্যারি গার্নির করা ১৯ তম ওভারে জাদেজার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই চেন্নাইয়ের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। জাজেদার তিন চারের সুবাধে ওই ওভারে আসে মূল্যবান ১৬ রান।
শেষ ওভারের দরকার ছিল ৮ রান। ফের জাজেদা চার মারেন। এরপর সহজ ভাবেই জিতে যায় চেন্নাই। কলকাতার হয়ে সুনিল নারিন ও পিযুষ চাওলা দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া হ্যারি গার্নি একটি উইকেট পান।
এর আগে ইডেন গার্ডেনসে রোববার দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতার ক্রিস লিন ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে ওপেনিংয়ে নামা সুনিল নারিন ফিরেন মাত্র ২ রান করে।
ক্রিস লিন একপাশ আগলে রাখলেও সতির্থ কোন খেলোয়াড় তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। নিতিশ রানা ২১, দীনেশ কার্তিক ১৮ ও শুভমান গিল ১৫ রান ছিল উল্লেখ করার মতো। ক্রিস লিন ৫১ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ক্রিসে ৮২ রানে ৬ টি ছক্কা এবং ৭টি চারের মার ছিল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে কলকাতা ১৬১ রান সংগ্রহ করে।
চেন্নাইয়ের হয়ে ইমরান তাহির চার উইকেট নেন। এছাড়া শার্দুল ঠাকুর ২ এবং মিচেল স্যান্টনার একটি উইকেট পান। ম্যাচ সেরা হন ইমরান তাহির।