১৯.৪ তম ওভারে বেন স্টোকস একটু উচিয়ে বল ডেলিভারি দেন। তাতেই শুরু হয় বিতর্ক। নো বল না দেওয়ায় ডাগ আউটে বসে থাকা স্বয়ং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মাঠে ডুকে আম্পায়ারদের সাথে ক্ষোভ ঝাড়েন । কারণ তখন যে একটা নো বলই ঘুরিয়ে দিত খেলার মোড়।
কিন্তু কে জানত রাজস্থানের দিকে ঝুলে থাকা জয়কে ছিনিয়ে নিবে ধোনিরা। শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৮ রান। লো স্কোরিং ম্যাচে ১৮ করা আর হিমালয় জয় করা একই ছিল। তাই স্বভাবতই ধরে নেওয়া হচ্ছিলো ম্যাচটা রাজস্থানের হাতেই।
কিন্তু বেন স্টোকসের প্রথম বলেই রবীন্দ্র জাদেজার ছক্কা। ছয় মারা স্টাইলটা ছিল দেখার মতো। লং অফ দিয়ে উচিয়ে মারতে গিয়ে ধপাস করে পড়ে যান জাদেজা। ঠিক উল্টো দিকে বোলার স্টোকসও পড়ে যান।
এর পরের বলে জাদেজা-ধোনি দৌড়ে এক রান দেন। তবে সেটি নো বল দিয়ে বিপত্তি বাধাঁন স্টোকস। দ্বিতীয় নম্বর বলে দুই রান। আর তৃতীয় নম্বর বলে ধোনি আউট।
ধোনি আউট হওয়ার পর প্রাণ ফিরে পায় রাজস্থান। চতুর্থ নম্বর বলে দুই রান। পঞ্চম বলেও দুই রান তুলে চেন্নায়। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ চার। কিন্তু চাপে থাকা স্টোকস শেষ বলে ওয়াট দিয়ে বসেন। ফলে শেষ বলে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল তিন রান। কিন্তু শেষ বলে সদ্য ব্যাটিংয়ে নামা মিচেল স্যান্টনার যে ছক্কা মেরে চেন্নাইয়কে ৪ উইকেটে জয় উপহার দিবেন, সেটা বোদহয় কেউই ভাবেনি।
এর আগে ১৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে চেন্নাই ২৪ রানেই হারায় ৪ উইকেট। আম্বাতি রাইডু ও মহেন্দ্র সিং ধোনি মিলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিই মূলত চেন্নাইকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। ধোনি ৫৮ এবং রাইডু ৫৭ রান করেন।
জয়পুরের সয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। জস বাটলারের ১০ বলে ২৩ এবং বেন স্টোকসের ২৬ বলে ২৮ রানই ছিল ব্যাক্তিগত সব্বোর্চ। চেন্নাইয়ের কিটপে বোলিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলে রাজস্থান।