২০০-এর বেশি রান যে কিছুই না আবার ১৫০-এর নিচের রান অনেক কিছু, এমনটাই দেখালো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আগে দিন ২০০-এর বেশি রান করে বেঙ্গালুরুর হেরে গেলেও, শনিবার ১৩৬ রান করেও জিতে গেছে মুম্বাই। উড়তে থাকা হায়দরাবাদকে মাটিয়ে নামিছেন আইপিএলে অভিষেক হওয়া ক্যারিবিয় বোলার আলজেরি জোসেফ।
১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও আলজেরি জোসেফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হায়দরাবাদকে ৯৬ রানেই অলআউট করে ফেলে মুম্বাই। আইপিএলের লো স্কোরিং ম্যাচে ৪০ রানের বড় জয় পায় রোহিত শর্মারা।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য যেন ডাল ভাত ছিল হায়দরাবাদের। ছন্দে থাকা হায়দরাবাদের শুরুটাই বলে দিচ্ছিলো মুম্বাইয়ের বোলারদের নাস্তানা বোধ করে ছাড়বে ডেভিড ওয়ার্নার-জনি বেয়ারস্টো।
কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার-জনি বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত ওপেনিংয়ে রাহুল চাহারের আঘাতেই হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ে মরদ শুরু হয়। ভেঙে যায় ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। জনি বেয়ারস্টো ফিরেন ১০ বলে ১৬ রান করে।
জনি ফেরার পরেও ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ১৫ রানে আউট করে আইপিএলে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পাওয়া পেসার আলজেরি জোসেফ নিজের উইকেটের খাতা খুলেন। এরপরেই একে একে আউট করেন বিজয় শঙ্কর (৫), দীপক হুদা (২০), রশিদ খান (০), ভুবনেশ্বর কুমার (২), সিদ্ধার্থ কাউলকে (০)।
অবশ্য মুম্বাইলের উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগীতায় ভাগ বসান রাহুল চাহার, জেসন বেহেরনডর্ফ ও জাসপ্রিত বুমরাহরা। তবে এক আলজেরি জোসেফের কাছেই হার মানতে হয় হায়দরাবাদের।
মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতার দিনে ভালো ভাবেই সাকিবের অনুপস্থিত অনূভব করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মিডল অর্ডারের ব্যার্থায় হয়তো সামনের ম্যাচে দেখা যেতে পারে সাকিবকে।
রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টসে জিতে হায়দরাবাদ প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ড ২৬ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও বাকী ব্যাটসম্যানদের কেউই ব্যাক্তিগত ২০ রানের উপরে যেতে পারেননি।
কুইন্টন ডি ককের ১৮ বলে ১৯ এবং ইশান কিশানের ২১ বলে ১৭ রান উল্লেখ্য করার মতো। হায়দরাবাদের হয়ে সিদ্ধার্থ কাউল দুটি উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার ও সন্দ্বীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হন অভিষেকে চমক দেখানো ক্যারিবিয় বলার আলজেরি জোসেফ।