টি-২০ তে ২০০-এর বেশি রান যে নিরাপদ স্কোর নয়, সেটি আবারও প্রমানিত হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স টপকে গেছে ৫ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই। এতে পর পর পাঁচ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল কোহলিরা।
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুক্রবার বেঙ্গালুরুর ২০৬ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি কলকাতার। দলীয় ২৪ রানে আউট হন সুনিল নারিন। তিনি ফিরেন ৮ বলে ১০ রান করে।
নারিন ফেরার পর রবিন উথাপ্পাকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন ক্রিস লিন। এ জুটি দলকে যখন বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই আঘাত হানেন নভদ্বীপ সাইনি। ভেঙে দেন ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ২৫ বলে ৩৩ রানে ফিরেন উথাপ্পা।
উথাপ্পা আউট পর পরই সাজঘরে ফিরেন ক্রিস লিন। ক্রিস ৩১ বলে ৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ক্রিস ফেরার পর পর কলকাতার ইনিংসে কিছুটা ভাটা পড়ে।
তবে রানের গতি সচল রাখতে জুটি গড়েন নিতীশ রানা ও অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। তবে সে জুটিটা বেশি বড় করতে দেয়নি কোহলিরা। ৩১ রানের জুটি গড়ার পর চাহালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রানা। রানা ২৩ বলে ৩৭ রান করেন।
রানা ফেরার পরই ম্যাচ বেঙ্গালুরুর হাতে চলে যায়। সেটা অবশ্য বুঝাও যাচ্ছিলো যখন রানা ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের ফিরেন তখন কোহলির উদযাপনের শারীরিক ভাষা দেখে।
রানা আউটের পর আন্দ্রে রাসেল-দিনেশ কার্তিকে ভর করে এগোচ্ছিলো কলকাতা। তবে সেটা মাত্র ১৪ রানের জুটি। নভদ্বীপ সাইনি বলে চাহালের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন কার্তিক ফিরছিলেন তখন স্টেডিয়াম বেঙ্গালুরুর জয় জয়কারে মুখরিত।
তবে আন্দ্রে রাসেলের কাছে যে বড় লক্ষ্যও দুধ ভাত। সেটা অবশ্যই এদিন কেউ কল্পনাও করেনি। কার্তিক ফেরার পর কলকাতার প্রয়োজিন ছিল ৩ ওভারে ৫৩ রান। যা কলকাতার পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব ছিল। কিন্তু এই অসম্ভব কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যাটিং ঝড় তুলেন রাসেল।
৭ ছক্কা আর ১ চারে মারে মাত্র ১৩ বলে করেন ৪৮ রান। ফলে ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে তৃতীয় জয়ের স্বাদ পায় কলকাতা।
এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স টিসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও পার্থিব প্যাটেল। বেঙ্গালুরু ৬৪ রান করার পর নিতীশ রানা জুটিটি ভেঙে দেন। ২৪ বলে ২৫ রান করে ফিরেন প্যাটেল।
এরপর অভিজ্ঞ এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন কোহলি। পর পর দুই ম্যাচে রান খরায় থাকা কোহলির ব্যাট এ দিন দুর্দান্ত খেলে। এবি কে সাথে নিয়ে কোহলি যখন কলকাতার বোলারদের নাজেহাল করছিল তখনই এ জুটিতে আঘাত হানেন কুলদ্বীপ যাদব।
দলীয় ১৭২ রানের এবি-কোহলির ১০৮ রানের জুটি ভাঙে। ৪৯ বলে ৮৪ রানের জ্বলমলে একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন কোহলি।
পরে এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩২ বলে ৬৩ এবং মার্কাস স্টয়নিসের ১৩ বলে ২৮ রানের সুবাধে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু।
৭ ছক্কা আর ১ চারে মারে ১৩ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কলকাতাকে জয় উপহার দেওয়ায় ম্যাচ সেরা হন আন্দ্রে রাসেল।