ম্যাচের একদম শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর হ্যাটট্রিক করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ১৪ রানের জন্য এনে দিয়েছেন স্যাম কুরান। এই জয়ে চলতি আপিএলের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে পাঞ্জাব। অথচ ১৪৪ রান পর্যন্ত মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু মাত্র ৮ রানেই বাকি ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় হতাশা সঙ্গী হয় তাদের।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা ইনিংসের প্রথম বলেই পৃথ্বী শ’র উইকেট হারিয়ে বসে দিল্লি। তবে ৬১ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামলে নেন শিখর ধাওয়ান ও শ্রেয়াস আইয়ার। ৮ম ওভারে শ্রেয়াস বিদায় নেওয়ার পর ১০ম ওভারে আউট হন শিখরও।
ঋষভ পান্ত ও কলিন ইনগ্রাম পাঞ্জাবকে ফের লড়াইয়ে ফেরান। দুজনে মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। কিন্তু মোহাম্মদ শামির করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোল্ড হলে শেষ হয় তার ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। পরের বলেই অশ্বিনের দুর্দান্ত রান আউটের শিকার হন ক্রিস মরিস।
২৯ বলে ৩৮ রান করে কুরানের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ইনগ্রাম। ওই ওভারের শেষ বলে হার্শাল প্যাটেলকেও বিদায় করেন কুরান। ১৯তম ওভারে হনুমা বিহারিকে আউট করেন শামি। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই কাগিসো রাবাদা ও সন্দ্বীপ লামিচানের উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ইংলিশ পেসার কুরান।
এর আগে ক্রিস গেইলকে ছাড়াই ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। ৫৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাঞ্জাবকে কক্ষপথে ফেরান সরফরাজ খান ও ডেভিড মিলার জুটি। দুজনে মিলে যোগ করেন ৬২ রান। মিলারের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ রান (৪৩)। সরফরাজ করেন ২৯ বলে ৩৯ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে মন্দীপ সিংয়ের ব্যাট থেকে।
বল হাতে দিল্লির মরিস ৪ ওভারে ৩০ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন মরিস ও লামিচানে।