এবারের ১২তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরে থাকছে না কোনো চেয়ারম্যান কিংবা কমিশনার। একটু অবাক হওয়ার মতো হলেও আইনি জটিলতায় কমিটির সকল কার্যক্রম আটকে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা হিন্দুস্থান টাইমস।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়োগ দেয়ায় বাকি সব কমিটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তবে এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছেন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি যাতে আছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষণ।
গত কয়েক বছরে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো গভর্নিং কাউন্সিল এবং চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ আলোচনা করে কজ করে আসছিল। এছাড়া ভারতের বাইরে এবারের আসর আয়োজনের কথাও ভাবছিল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে দেশের বাইরে টুর্নামেন্টটি আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গভর্নিং কাউন্সিল ও চেয়ারম্যান না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিসিসিআইয়ের এক নির্বাহী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি নতুন কমিটি আইপিএলের তত্ত্বাবধান করবে। সাধারণ বার্ষিক সভার পর সেই কমিটি গঠন করা হবে। তবে এবারই প্রথম আইপিএলে কোন চেয়ারম্যান কিংবা কমিশনার না থাকাটা বিপদজনক। কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
২০০৮ সালের যাত্রা শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএলের। প্রথম আসরে ললিত মোদী এটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০১০ সালে আইপিএল এর ৩য় আসর চলাকালীন অর্থ সংগতি, বিদেশে অর্থ পাচার, বাজি ধরা, ঘুষ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে আইপিএল থেকে আজীবনের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয় ললিত মোদীকে।
গত আইপিএলের আসরে রাজীব শুক্লা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। 'যৌনকর্মী ও অর্থ' ঘুষ গ্রহণের নীতিতে জাতীয় দলে জায়গা করে দেন বলে অভিযোগ উঠে রাজীব শুক্লার বিরুদ্ধে। এবারের আসরের নিলামে দেখা যায়নি তাকে।
প্রসঙ্গত, আইপিএলের ১১টি আসর অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি আসরের মধ্যে রাজস্থান রয়্যালস (২০০৮), ডেকান চার্জার্স (২০০৯) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০১৬) একবার করে, চেন্নাই সুপার কিংস (২০১০, ২০১১) ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০১২, ২০১৪) দু`বার করে এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তিনবার (২০১৩, ২০১৫, ২০১৭) আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।