ঢাকা থেকে চার্টার্ড বিমানের উড়িয়ে নিলেও মোস্তাফিজুর রহমানকে বসিয়ে রেখেছিল দিল্লি ক্যাপিটাল্স। টানা তিন ম্যাচ হারের পর চতুর্থ ম্যাচের একাদশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে রাখা হলেও জয়ে ফিরতে পারেনি ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক ওয়ার্নার।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ১৭২ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করেছিল দিল্লি। ১৯.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে এ রান সংগ্রহ করে দিল্লি। ম্যাচটিতে ব্যাট হাতেও নামতে হয়েছিল মোস্তাফিজকে। ব্যাট হাতে ১ বল খেলে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি এ পেসার।
জবাবে ইনিংসের শেষ বলে নাটকীয় জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আসরে দলটির এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে, নিজেদের চার ম্যাচে সবগুলোতেই পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে পয়েন্ট টেবিলেন তলানীতে রয়েছে দিল্লি।
ব্যাট হাতে ১ রানে অপরাজিত মোস্তাফিজ বল হাতে কিছুটা খরচে ছিলেন। চার ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৮ রান, সাথে অবশ্য একটি উইকেট শিকারও ছিল। তবে দিল্লির বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি রান আসে মোস্তাফিজের ওভার থেকে।
সবচেয়ে বেশি রান দিলেও ১১টি ডট বল করেছেন মোস্তাফিজ। তবে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় রান ইকোনোমি বেড়ে গেছে। মোস্তাজি ছাড়া দিল্লির পক্ষে বাকি একজন মাত্র বোলার উইকেট শিকার করতে পারেন।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ২ ছক্কায় মূলত ম্যাচের মোর ঘুরে যায়। তবে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ওয়ার্নার বলেন, “দেখুন নরকিয়া ও মোস্তাফিজ ডেথ ওভারে বিশ্বসেরা। আজও তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তবে মুম্বাইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার টিম ডেভিড শেষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।”
দিল্লির অধিনায়ক বলেন, “আপনি যদি প্রথম তিনটি ম্যাচ দেখেন, এক কথায় অসাধারণ। তবে প্রতিটি ম্যাচেই শেষে গিয়ে আমরা খেই হারিয়ে ফেলছি। তবে সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা দুটো বল খারাপ করেছি, আর এতেই ম্যাচ শেষ। আমরা যে এভাবে ম্যাচে ফিরতে পেরেছি, এটাই অনেক কিছু।”
মোস্তাফিজ ও নরকিয়ার বোলিং প্রসঙ্গে ওয়ার্নার আরও বলেন, “নরকিয়ার পাশাপাশি মোস্তাফিজ থেকে আমরা এমনটাই আশা করি। তারা দু’জনই বিশ্বসেরা। তবে আমার মনে হয় গত ৩ ম্যাচে আমরা বেশ কিছু ইতিবাচক জিনিস পেয়েছি। বিশেষ করে আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলছি।।”