বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের পুরো সময় না পাওয়ার ক্ষোভে হুমকি দিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এবার নিজ দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা বোলারদের নিয়েই বিপাকে পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। খেলতে দিলেও বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ১২ জন বোলারদের উপর বেশি চাপ যেন না দেওয়া হয় -সেই নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
আইপিএল শেষেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ভারতের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। দুটি প্রতিযোগিতায় যেন বোলারদের সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়, সে জন্যই এমন নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিও নীতিন পটেল ও ভারতীয় দলের ফিজিও সোহম দেশাই বিষয়টি নিয়ে আইপিএলের সকল ফ্র্যাঞ্চাইজির ফিজিওদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১২ জন ভারতীয় বোলারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আইপিএলে তাদেরকে যেন সাবধানে ব্যবহার করা হয়।
আইপিএলের সাতটি দলে ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তি থাকা ১২ জন বোলার খেলবেন। তারা হলেন- গুজরাত টাইটান্সের মোহাম্মদ শামি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মোহাম্মদ সিরাজ়, কলকাতা নাইট রাইডার্সের উমেশ যাদব ও শার্দুল ঠাকুর, চেন্নাই সুপার কিংসের দীপক চাহার, দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল, রাজস্থান রয়্যালসের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যুজবেন্দ্র চাহাল এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
বিসিসিআই এর এক কর্মকর্তা দেশটির সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ভারতীয় বোলারদের খুব সাবধানে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নেটে তারা অতিরিক্ত বোলিং করবেন না। ফিল্ডিং অনুশীলন করবেন। তবে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নেটে বোলিংয়ের সময় বাড়াবেন এসব বোলরারা।
এছাড়া বিষয়টি নজর রাখতে বিসিসিআই সব সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। কোনও বোলার যদি বলেন যে, তার কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে সে কথা জানাতে হবে।