শেষ ওভারে হারের আক্ষেপটা আবারও বাড়লো মোস্তাফিজদের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেলেন না বুমরাহ-মুস্তাফিজরা। ১১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় জয় ছিনিয়ে নিলেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। শেষ হাসিটাও হাসলো রাজস্থান রয়্যালস।
রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান। রাজস্থানের হয়ে সাজু স্যামসন ৫২, স্টোকস ৪০ ও গৌতম ৩৩ রান করেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়া ২টি এবং মুস্তাফিজ, ক্রনাল পান্ডিয়া ও ম্যাকক্লেনাগেন ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু শুরুতেই এভিন লুইসের উইকেট হারায় মুম্বাই শিবির। শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। লুইসের উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিষাণের চওড়া ব্যাট বড় রানের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে মুম্বাই সমর্থকদের। ৪৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন যাদব। ডান-হাতি এই ওপেনারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে। তাল মিলিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন কিষাণও। চারটি চার এবং তিনটি ছয়ের সৌজন্যে ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া কোনও মুম্বাই ব্যাটসম্যানই এ দিন বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা রানের খাতা না খুলেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। পান্ডিয়া ভাইরাও ব্যাট হাতে নিজেদের ঝলক দেখাতে ব্যর্থ হন। ৭ রান করেন ক্রুনাল এবং ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হার্দিক।
শেষের দিকে ২২ রানের ইনিংস খেলে রানকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন কাইরন পোলার্ড। রাজস্থানের হয়ে সুযোগ পেয়েই এ দিন বল হাতে জাত চেনালেন জোফ্রে আর্চার। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি। দু'টি উইকেট নেন গত ম্যাচে দলে সুযোগ না পাওয়া ধবল কুলকার্নি। একটি শিকার জয়দেব উনাদকাটের।