আধুনিক ক্রিকেট থেকে ফুটবল, খেলার দুনিয়ার অন্যতম আকর্ষণ চিয়ারলিডার। খেলার সময় দলকে সমর্থকদের সাথে চিয়ারলিডার নেচে সমর্থন করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। মাঠের হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের পাশাপাশি চিয়ারলিডারদের শারীরিক কসরত বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। ক্রিকেট মাঠে চার-ছক্কা-উইকেট পতনের সঙ্গে সঙ্গেই নাচের ভঙ্গিমায় শারীরিক কসরত মাধ্যমে চিয়ারলিডাররা মাতিয়ে তোলেন পুরো গ্যালারি।
চিয়ারলিডারদের জানা-অজানা কিছু তথ্য:
১. লাতিন আমেরিকা, আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে বিভিন্ন সংস্থার বাছাই করা চিয়ারলিডাররাই ফ্রাঞ্চাইজি সংসারে প্রবেশাধিকার পান।
২. খেলা চলাকালীন চিয়ারলিডারদের সর্বক্ষণ দর্শকদের বিনোদন দিতে ক্রিকেটারদের মতোই ঘাম ঝরাতে হয়। তবে গ্যালারিতে তাদের উদযাপন করার জন্য মাঠের বাইরে রীতিমতো কসরত করতে হয়। পারিশ্রমিক অবশ্য ক্রিকেটারদের তুলনায় অনেক কম।
৩. অবাক করা সত্যি, অধিকাংশ চিয়ারলিডারই নিজেদের পোষাক 'আগলি' বলে মনে করেন।
৪. দর্শকদের পাশাপাশি অনেক সময় অনেক ক্রিকেটাররাও চিয়ার গার্লদের প্রতি 'দুষ্টু-মিষ্টি' ব্যবহার করে থাকেন। অতীতে এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। তবে সুন্দরীরা মনে করেন, এগুলো প্রফেশনাল হ্যাজার্ডের অংশ।
৫. বেশির ভাগ চিয়ারলিডারই উচ্চশিক্ষিত। অধিকাংশরাই পড়াশোনা চালানোর খরচ হিসেবে মৌসুমি এই পেশাকে বেছে নেন।
৬. হাজার হাজার দর্শকদের সামনে ছোট পোশাক পরে লাস্যময়ী নাচের জন্য বিশেষভাবে গ্রুমিং করা হয় চিয়ারলিডারদের।
৭. মঞ্চে নাচতে থাকা চিয়ারলিডারদের প্রতি দর্শকদের কু-ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্যবাণ নিক্ষেপ ভীষণ স্বাভাবিক ঘটনা।