ভারতে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় আইপিএলের ১৫তম আসর নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে সমস্যা সমাধানে প্ল্যান ‘বি’র অংশ হিসাবে আপাতত মহারাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টিপাত করেছে তারা।
২০২১ সালেও করোনার জন্য মাঝপথে থেমে গিয়েছিল ভারতের জনপ্রিয় এ টুর্নামেন্ট। বিরতি দিয়ে আসরের বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে এবারও করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সেদিকে না গিয়ে নিজেদের মাটিতেই বিকল্প পথ খুঁজছে ভারত।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মূলত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারও তাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে না গিয়ে মহারাষ্ট্রের তিন ভেন্যুর কথা বিবেচনা করেছে বিসিসিআই।
মহারাষ্ট্রের ভেন্যুগুলো হলো– মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম এবং মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম।
আইপিএলের এবারের আসরের আয়োজন নিয়ে ৫ জানুয়ারি (বুধবার) আলোচনায় বসেছিলেন আইপিএল কমিটির প্রধান হেমাং আমিন এবং মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় পাতিল। সেখানেই মহারাষ্ট্রে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এখন অপেক্ষা কেবল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুমতির। সাত কিংবা দশ দিনের মাঝেই তার সাথে স্বাক্ষাৎ করবে আইপিএল কমিটি।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যম বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধ নিয়ম মেনে মহারাষ্ট্রে আইপিএল আয়োজনে কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রথমত, খেলা হতে হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয়ত, ম্যাচ অফিসিয়াল এবং খেলোয়াড়দের বায়ো-বাবল মেনে চলতে হবে। সর্বশেষ, প্রতি তিন দিন অন্তর সবাইকে র্যাপিড টেস্ট এবং পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
এরপরও যদি মহারাষ্ট্রে আইপিএল আয়োজন সম্ভব না হয় তবে বিকল্প হিসাবে আবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের ব্যাপারে ভেবে দেখবে ভারত ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় এ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]