আর দুই দিন পর মাঠে গড়াবে আইপিএলের একাদশতম আসর। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রতিটি দলে যোগ দিয়েছেন খেলোয়াড়রাও। উত্তেজনায় মুখিয়ে আছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। ঠিক এমন সময় পাতানোর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় আইপিএলের চলতি আসর স্থগিত করতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছেন আইপিএস অফিসার জি সম্পাথকুমার।
আইপিএলে ফিক্সিং নতুন কিছু নয়। ফিক্সিংয়ের দায়ে দুই বছর নিষিদ্ধ ছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যাল। এছাড়া প্রতিবছর কোন না কোন খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হচ্ছেন এই অভিযোগে। কিন্তু আইপিএল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে এখনো কোন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই পুলিশ অফিসারের মামলাটি 'জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। প্রধান বিচারক ইন্দিরার এ সেলভামের বেঞ্চে শুনানি হবে।
অভিযোগে বল হয়, বিসিসিআই-এর বোর্ড কর্তাদের স্বার্থের জন্য নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না ফিক্সিং। এছাড়াও, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট দুর্বল।
আইপিএস অফিসার জি সম্পাথকুমার বলেন, ‘খেলা বন্ধ করা তার উদ্দেশ্য নয়। তিনি আবেদন সংশোধন করবেন। কিন্তু লোঢা কমিটির নির্দেশের পরেও আইপিএল-এ কয়েকজন ব্যক্তির স্বার্থরক্ষা করা হচ্ছে। স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বিসিসিআই। দুর্নীতি-দমন শাখার দায়িত্ব ও কার্যকলাপ, ক্রিকেটারদের আয় এবং ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই বিসিসিআই-এর কাছে।’
সম্পথকুমারের দাবি দুর্নীতি প্রতিরোধক কোনো পদ্ধতি না বের করা পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টের ওপর যেন স্থগিতাদেশ থাকে।