বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ ও টুর্নামেন্টের ৩৪তম ম্যাচে স্বাগতিক সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। একই সঙ্গে এ জয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের পর শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো রাজশাহী।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল সিলেট থান্ডার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯ বল হাতে রেখেই ১৪৫ রান করে রাজশাহী।
ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারে ২৬ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন সিলেটের দুই ওপেনার অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মজিদ। ১১ বলে ১৬ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মজিদ। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস, করেন ৮ রান। ধীরলয়ে শুরু করে আউট হন ফ্লেচারও। ৩৩ বলে ২৫ রান করেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ফ্লেচার।
তবে চতুর্থ উইকেটে বড় জুটির চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিথুন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফেন রাদারফোর্ড। মারমুখী মেজাজে মাত্র ২২ বলে ৪৭ রান যোগ করে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান তারা। তবে ১৪ রানের ব্যবধানে দু’জনের বিদায়ে বড় স্কোর গড়তে পারেনি সিলেট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করে স্বাগতিকরা।
মিঠুন ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ ও ১১ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রান করেন রাদারফোর্ড। রাজশাহীর স্পিনার অলক কাপালি ১৪ রানে ২ উইকেট নেন।
১৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দলীয় ৫৯ রানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে রাজশাহীর। ২০ বলে ৩৬ রান করে আউট হন লিটন দাস। লিটন আউট হলেও অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে রান তুলতে থাকেন আফিফ।
তবে দলীয় ৯৪ রানে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন আফিফ। অর্ধশত রান থেকে মাত্র ৪ রান দরে থেকে আফিফকে ফিরতে হয় সাজঘরে। ৩০ বলে ৮টি চারের মারে ৪৬ রান করেন আফিফ।
আফিফ চলে গেলে রান তোলার গতি বাড়ান অধিনায়ক শোয়েব মালিক। দলীয় ১২৭ রানে ২২ বলে ব্যক্তিগত ২৭ রানে শোয়েব মালিকও ফিরে যান। তার আগে দলীয় ১২৫ রানে ১০ রান করে আউট হন ইরফান শুক্কুর। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজের ব্যাটে ২৯ বল বাকি রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী রয়্যালস।
সিলেটের পক্ষে দেলোয়ার হোসাইন ২টা এবং রাদারফোর্ড একটি উইটেক নিয়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছে রাজশাহীর আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এ জয়ে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়েছে রাজশাহীর। একই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে চট্টগ্রামে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে তারা।