চট্টগ্রাম শেষে দ্বিতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু বিপিএল আবার ঢাকায়। আজ শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রেঞ্জার্স। মিরপুরে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এ ম্যাচ দিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে চায় খুলনা। অন্যদিকে চট্টগ্রামে প্রথম জয় পাওয়া রংপুর এবার ঢাকাতে প্রথম জয় চায়।
আসরে খুলনার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম তিন ম্যাচেই জয় পায় তারা। এর মধ্যে একটি ছিল ঢাকার মাটিতে। শক্তিশালী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। এরপর চট্টগ্রামের মাটিতে রাজশাহী রয়্যালসকে ও রংপুর রেঞ্জার্সকে হারায় খুলনা। ফলে হ্যাটট্টিক জয়ের স্বাদ নিয়ে ফুরফুরা মেজাজেই ছিল খুলনা।
তবে চট্টগ্রাম পর্বের শেষটা মোটেও ভালো হয়নি খুলনার। শেষ দু’ম্যাচেই হারে তারা। রংপুর রেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডারের কাছে হারে খুলনা। ফলে উড়ন্ত শুরুর পরও স্বস্তি নেই খুলনা। ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট রয়েছে খুলনার। অবশ্য শেষ দু’ম্যাচ হারের পর দলের অধিনায়ক মুশফিক ও ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান একই সুরে কথা বলেছেন। বলেন, ‘আমরা হেরে টুর্নামেন্টকে জমিয়ে দিলাম।’
খুলনার হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। ৫ ইনিংসে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৫৯ রান করেন তিনি। এবারের আসরে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। এরপর আছেন অধিনায়ক মুশফিক। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো ছিল মুশফিকের। তবে শেষ দুই ম্যাচে খেই হারান মুশফিক। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ দেন মুশফিক। ৫ ইনিংসে ১৫৪ রান রয়েছে মুশফিকের। তাই রংপুরের বিপক্ষে জয় পেতে হলে রুশোর সাথে মুশফিক ও অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের জ্বলে উঠতে হবে।
এবারের আসরে রংপুর রেঞ্জার্সের শুরুটা ছিল চরম হতাশার। প্রথম চার ম্যাচের সবক’টিতেই হারে তারা। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমান ২টি করে ম্যাচ হারে রংপুর। অবশেষে চট্টগ্রামে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের দেখা পায় রংপুর। খুলনাকে ৭ উইকেটে হারায় রংপুর। আর রংপুরের হারগুলো ছিল- চট্টগ্রাম-রাজশাহী-খুলনা ও সিলেটের কাছে।
রংপুরের পক্ষে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারছেন না দলের ব্যাটসম্যানরা। যা রান করেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ৫ ইনিংসে ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৫৬ রান রয়েছে নাঈমের। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরির। ৫ ইনিংসে ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩০ রান করেছেন তিনি। তার ১টি হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। তার ৩৭ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৬ রান এবারের আসরে রংপুরকে প্রথম জয়ের স্বাদ দেয়। বল হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী গ্রেগরি। ৪ ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।