বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বড় জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলো রাজশাহী রয়্যালস। মাশরাফি-তামিমের ঢাকা প্লাটুনকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দু’দলেরই এটি প্রথম ম্যাচ ছিল।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় রাজশাহী রয়্যালস। ফলে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা প্লাটুন।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারে ঢাকা। দলীয় ১৫ রানে ওপেনার তামিম ইকবালকে ব্যক্তিগত ৪ হারায় ঢাকা প্লাটুন। তবে এরপর বড় ইনিংস খেলার আভাস দেন এনামুল হক ও ইংল্যান্ডের লরি ইভান্স।
ভালো শুরুর পরও ছোট ইনিংস খেলে থামেন তারা। এনামুল ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৮ রান করেন। আর ইভান্সের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
চার নম্বরে নেমে জাকের আলিও বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর ঢাকার চার ব্যাটসম্যান দু’অংকের কোটা স্পর্শ না করেই ফিরে যান। আর তাতেই দলের বড় সংগ্রহের পথ শেষ হয়ে যায়।
শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ১, আরিফুল হক ৫, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি শূন্য ও মেহেদী হাসান ৬ রান করে আউট হলে ১০৩ রানেই অষ্টম উইকেট হারায় ঢাকা। তবে শেষদিকে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের ১২ বলে ১৯ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ১০ বলে অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের সম্মানজনক স্কোর পায় ঢাকা।
ওয়াহাব ২টি চার ও ১টি ছক্কা এবং মাশরাফি ২টি ছক্কা মারেন। রাজশাহীর আবু জায়েদ ২ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৩৫ রানের সুবাদে ভালো সূচনা করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার আফগানিস্তানের হযরতউল্লাহ জাজাই ও উইকেটরক্ষক লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ বল মোকাবেলা করে ৬২ রান করেন তারা। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফিরেন লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটি গড়ে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন জাজাই।
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া জাজাই ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৬ রান। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। ঢাকার মেহেদী হাসান ১টি উইকেট নেন।