২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপের দল গঠনে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলে তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখা হবে। তবে বাদ যাবে না সিনিয়র খেলোয়াড়রাও।
ডিসেম্বরের ১১ তারিখ থেকে ঢাকায় শুরু হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিতে বিপিএলের আগের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলেও এবার বিসিবির সরাসরি তত্বাবধানে সাত দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। এ টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের টি-২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
শনিবার হাবিবুল বাশার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এ কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দিকে নজর রাখছি। যাতে আমরা বিশ্বকাপের জন্য সেরা দলটি গঠন করতে পারি।
তিনি বলেন, বিপিএলে তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখা হবে। বাদ যাবে না সিনিয়র খেলোয়াড়রাও। আমাদের টি-২০ ক্রিকেটে ১৪০-১৫০ স্ট্রাইকের খেলোয়াড়ের ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে এ টুর্নামেন্টটির ওপরই আমাদের বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের বিপিএল আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরও খেলাসা করে বলতে গেলে, আমাদের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পজিশনের জন্য বিশেষজ্ঞ টি-২০ ক্রিকেটার দরকার, যারা বেশ সাবলীল স্ট্রাইক রেটের জোড়ালো ব্যাটিং দিয়ে বেশি রান আনতে পারে।
সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকারের মত টি-২০ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের থাকলেও তারা আসলে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না। তবে এবারের বিপিএল থেকে আরও কিছু টি-২০ খেলোয়াড় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাশার।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিপিএলেই আমরা কিছু খেলোয়াড় পেয়েছি। আমার বিশ্বাস এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আশা করি, আমরা প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় পাব।
শুধু বিপিএল নয়, বাশারের মতে ইমার্জিং কাপ ও এসএ গেমসের মত টুর্নামেন্টকেও ভবিষ্যতের খেলোয়াড় বাছাইয়ের মঞ্চ হিসেবে মনে করছে ম্যানেজমেন্ট। নাজমুল হাসান শান্তর নেতৃত্বে এসএ গেমস খেলতে নেপাল গেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-২৩ পুরুষ ক্রিকেট দল। ভারত ও পাকিস্তান সেখানে ক্রিকেট দল না পাঠানোয় দলটি স্বর্ণপদক নিয়ে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতীয় গৌরবের বিষয় হলেও ওই আসর থেকে শুধু স্বর্ণ পদকের দিকে তাকিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন বাশার। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের টি-২০ ক্রিকেটের সামর্থ্য যাচাই কারা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতার জন্য প্রতিযোগিতামূলক এ টুর্নামেন্টগুলোও খুব কার্যকরী হয়। সুতরাং আমরা যখন কোন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে খেলি তখন দলের স্বার্থটাও দেখি। এসএ গেমস এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ওই গেমসের মাধ্যমে ছেলেদের টি-২০ সামর্থ্যও যাচাই করতে পারব।