বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে হারের স্বাদ পেল চিটাগং ভাইকিংস।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগায় চিটাগং। মাত্র ৩৫ বল মোকাবেলা করে দলকে ৬৩ রান এনে দেন দলের দুই ওপেনার নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চি ও সৌম্য সরকার। কুমিল্লার বোলারদের ওপর বেশি চড়াও ছিলেন রঞ্চি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২১ বলে ৪০ রান তুলে আউট হন রঞ্চি।
তার বিদায়ের পরেও রানের গতি ধরে রেখেছিলেন সৌম্য ও শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা। দু’জনের ৩৮ রানের জুটিতে ১২তম ওভারেই দলীয় স্কোর শতরানের কোটা স্পর্শ করে কুমিল্লা। এরপর ৫ রানের ব্যবধানে সৌম্য ও মুনাবিরার বিদায় ঘটলে কাল হয়ে দাঁড়ায় চিটাগংয়ের জন্য। মাত্র ৩৭ রান যোগ করতে পারে চিটাগংয়ের পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা।
সৌম্য ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৮, মুনাবিরা ২২ বলে ২১ ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ১৩ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন। কুমিল্লার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৪৪ রানের টার্গেটে শুরুটা মারমুখী মেজাজেই করেছিল কুমিল্লা। ওপেনার লিটন দাস চিটাগাং বোলারদের উপর চড়াও হন। তবে শুরুটা ভালো করেও ১৪ বলে ২৩ রান করে থেমে যান তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাকাঁন লিটন।
দলীয় ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর কুমিল্লাকে জয়ের পথে রেখেছেন আরেক ওপেনার ইংল্যান্ডের জশ বাটলার। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস ঠান্ডা মেজাজে সঙ্গ দিয়েছেন বাটলারকে। তাই সময় গড়ানোর পাশাপাশি কুমিল্লার জয় পথও পরিস্কার হয়েছে।
লিটনকে ফেরানোর চিটাগংয়ের শুভাশিষ রয় বাটলারকেও থামিয়ে দেন। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ বলে ৪৮ রান করেন বাটলার। তার বিদায়ের পর কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন কায়েস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস। উইকেটে গিয়েই দ্রুত রান তুলে ১৬ বল হাতে থাকতেই কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন স্যামুয়েলস।
৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন স্যামুয়েলস। ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চিটাগং ভাইকিংস : ১৪৩/৭, ২০ ওভার (রঞ্চি ৪০, সৌম্য ৩৮, সাইফউদ্দিন ৩/২৪)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৪৪/২, ১৭.২ ওভার (বাটলার ৪৮, স্যামুয়েলস ৩৫*, শুভাশিষ ২/২৪)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।