স্পোর্টসমেইল২৪
পুরুষদের টি-২০ ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো নারীদেরও বিপিএল চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। তিনি বলেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সঙ্গে তাল মেলানোর সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে রুমানা বলেন, এ মুহুর্তে দেশে নারী ক্রিকেটারের অভাব নেই। যেটিকে বিসিবি সব সময় টুর্নামেন্ট আয়োজনে বড় বাঁধা মনে করে। চলতি বছর নারীদের প্রিমিয়ার লিগে মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। এটিই প্রমাণ করে বিসিবি যদি ইচ্ছা করে তাহলে দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় নিয়ে নারী বিপিএল চালু করতে পারবে।
ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে প্রতিবেশি দেশ ভারতে ‘ওমেন্স টি-২০ চ্যালেঞ্জ’ নামে চালু হয়েছে নারীদের আইপিএল। ওই আসরে শুধুমাত্র দুটি দল অংশ নিলেও এবার সেখানে তিনটি দল অংশ নিতে যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই আগামী বছর থেকে সেখানে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা সাত থেকে আটটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ভারত নারী টি-২০ র্যাংকিংয়ের পঞ্চম অবস্থানে পৌঁছে গেছে। রুমানার মতে, বিসিবি যদি বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে এমন টুর্নামেন্ট চালু করতে পারে তাহলে এখানকার নারী দলও ভারতের মত র্যাংকিং লাভ করতে পারবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ টি-২০ ক্রিকেটের র্যাংকিংয়ে নবম অবস্থানে রয়েছে।
রুমানা বলেন, তারা (ভারত) এ বছর তিনটি মাত্র দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও আগামী বছর সেখানে দলের সংখ্যা সাত থেকে আটটিতে উন্নীত হবে। তারা দল নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছে তার ফলও পাচ্ছে। সুতরাং আমাদেরও ছোট্ট পরিসরে এ টুর্নামেন্ট চালু করা উচিৎ এবং ধাপে ধাপে সেটির কলেবর বাড়ানো যাবে। সেটি যদি করা যায় তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের র্যাংকিংয়েরও অনেক উন্নতি ঘটবে।
কনুইয়ের ইনজুরি থেকে সুস্থ হওয়ার পথে থাকা রুমানা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অংশীজনদের প্রতিও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুরুষ ক্রিকেটের মত নারী ক্রিকেট প্রচারণা পায় না। কয়েকদিন আগে আমাদের ইমার্জিং দল দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে এসেছে। সেখানে তারা টি-২০ সিরিজে হারলেও জিতে নিয়েছে ওডিআই সিরিজ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে খুবই ছোট করে।
তিনি বলেন, যখন পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ বা ইমার্জিং দল কোথাও সফরে যায় তখন ব্যাপকভাবে তাদের সংবাদ পরিবেশিত হয়। সাংবাদিকরাসহ পৃষ্ঠপোষকরা যদি আমাদের সংবাদ আরও বড় পরিসরে প্রচার করতো তাহলে এদেশের নারী ক্রিকেট আরও বেশি সমৃদ্ধ হতো।
